ফরিদপুরের বোয়ালমাারীতে ফসলী জমি কেটে দিঘী খনন করার অভিযোগ উঠেছে। খনন কৃত মাটি বিভিন্ন প্রকার ইট ভাটায় ও ভরাট কাজে বিক্রি করছে। প্রশাসন নিষেধ করা সর্তেও বেশ তরবিয়তে মাটি কেটে বিক্রি করছে ভূমি দস্যূ খায়রুল মোল্যা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের লিংকন মাস্টারের ৮ একর ফসলী জমি কেটে দিঘি খনন করছে।
ভূমি দস্যু লংকারচর গ্রামের খায়রুল মোল্যা ক্রয়কৃত ফসলী জমির মাটি এক্সাভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে কেটে ট্রলী যোগে বহন করে ইট ভাটায় ও ভরটে পৌছে দিচ্ছে। মাটির প্রতি ট্রলী প্রকার ভেদে তিনি ১২ শত টাকা থেকে ১৪ শত টাকায় বিক্রি করছেন।
মাটি বহনে স্থানীয় সড়কে ধূলা বালুতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি সড়কও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে। ফসলী জমিতে দিঘী খননের কোন প্রকার অনুমতি আছে জানতে চাইলে তাদের দাবী প্রশাসন, কতিপয় সাংবাদিক, ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে প্রায় ১ মাস যাবত ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, ভূমি দস্যু খায়রুল কৌশল করে ৮ একর ফসলী জমিতে ছোট ছোট কুয়া খনন করেছে।
পর্যায়ক্রমে সকল কুয়া একত্রিত করে দিঘী তৈরী দিবেন জমির মালিকদের। ভূমি দস্যু খায়রুল মোল্যা বলেন, বিভিন্ন জায়গা ম্যানেজ করে আমরা মাটি কেটে বিক্রি করছি। আর মাটি কাটলে কি হবে। ফসলের চেয়ে জমির মালিক পুকুর বা দিঘী খনন করলে মাটি বিক্রি করতে পারবে এবং বছরে মোটা অংকের টাকা পাবে।
তাই তারা উদ্বুদ্ধ হয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। লিংকন মাস্টার বলেন, জমি একটু নিচু হওয়াতে পানি উঠে যায়। আর পাশে ছোট ছোট আকৃতির পুকুর খনন করে মাছে চাষ শুরু করেছি। অতঃপর বুঝে শুনে বেশি লাভের জন্য মাছ চাষ করতে পুকুর খনন করা হচ্ছে।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, তাদেরকে প্রথমত সতর্কতা মূলক নিষেধ করা হয়েছে। তারা সেটা মানেননি। এবার তাদেরকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।