আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণাকালে জামালপুর ৫ সদর আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) এর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা-ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজউল করিম রেজনু (ঈগল পাখি)’র সমর্থকদের বিরুদ্বে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে নৌকার একটি প্রচার কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এতেই শেষনয়, বুধবার দুপুরেও জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডুলা গ্রামে নৌকার একটি নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে নৌকার ৬ কর্মী-সমর্থক আহত হয়, তাদের মধ্যে ৪ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় ঘোরাফেরা করে। রাত ২টার পরে ঈগল প্রতীকের সমর্থক সৌরভ, বাবুলের নেতৃত্বে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কালাম আজাদের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে ভাঙচুর করে। এ সময় পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে জুয়েল, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন নৌকার সমর্থক বিষয়টি টের পেয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ঘটনার পর ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন এই ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তারা একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, যেন ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না আসে।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু হামলার ব্যাপারে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা নিজেরা নিজেরাই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। তারা এসব করে ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করছে যেন ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে ভয় পায়।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির জানান, অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।