মৃত সিরাজ সিকদার (৫৮) বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের কোব্বাত সিকদারের ছেলে। পঙ্কজ ও শাম্মী অনুসারীরা নিহত সিরাজকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছেন।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মোল্লা বলেন, ‘মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকতে ছিলাম। আগে থেকে অবস্থান নেয়া শাম্মী অনুসারীরা বোতল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৫ জনকে আহত করেন। এর মধ্যে সিরাজ মারা যান।’
শাম্মীর অনুসারী হিজলা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা আগে থেকে জনসভাস্থলে ছিলাম। পঙ্কজ নাথের অনুসারীরা প্রবেশ করে মারামারি শুরু করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন মারামারির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি বলেন, সিরাজ জনসভার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে আনার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবিরউদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবু সন্দেহের কারণে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।