বরিশাল-৪ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ড.শাম্মী গ্রুপের ২৮ডিসেম্বরের গোপন মিটিং, পংকজ নাথ এর ভেরিফাইড এফবি আইডি থেকে নেয়া হুবহু ম্যাসেজটি নিম্মে বর্ণিত হলো
এই মাত্র পাওয়া আরও একজন শুভানুধ্যায়ীর message
“-গত পরশু দিন ওদের গোপন মিটিং হইছে। ওরা চায় বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটাবে, প্রয়োজনে নিজেরা নিজের মারামারি করবে। আর নির্বচনের দিন কেন্দ্রে ঝামেলা করে কেন্দ্র বন্ধ করবে। কুকুড় কামরানোর চেষ্টা করবেই। দাদা যদি আপনি সুষ্ঠ নির্বাচন করার ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে আপনি ৭০% ভোট বেশি পেয়ে এমপি হবেন ইনশাআল্লাহ। হাজারো সাধারন মানুষ চায় জুলুম অত্যাচার থেকে আল্লাহ আপনাকে এমপি করে তাদের রক্ষা করবে। সব সময় দোয়াও করে”
মেসেজ অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর গোপন মিটিং এর পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর
বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠে পঙ্কজ নাথ ও ডা. শাম্মী আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ( ২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভার মাঠে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জনসভায় শাম্মী গ্রুপ-ই প্রথমে মারামারি শুরু করেছেন, পঙ্গকজ গ্রুপের অর্ধশতাধিক নেতা কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করছেন, এবং একজনের মৃত হয়েছে।
মৃত সিরাজ সিকদার (৫৮) বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের কোব্বাত সিকদারের ছেলে। পঙ্কজ ও শাম্মী অনুসারীরা নিহত সিরাজকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছেন।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মোল্লা বলেন, ‘মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকতে ছিলাম। আগে থেকে অবস্থান নেয়া শাম্মী অনুসারীরা বোতল ইট পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৫ জনকে আহত করেন। এর মধ্যে সিরাজ মারা যান।’
শাম্মীর অনুসারী হিজলা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা আগে থেকে জনসভাস্থলে ছিলাম। পঙ্কজ নাথের অনুসারীরা প্রবেশ করে মারামারি শুরু করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন মারামারির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি বলেন, সিরাজ জনসভার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে আনার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবিরউদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবু সন্দেহের কারণে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।