শিরোনাম:
বোয়ালখালীতে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন সদিয়াতে বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। শাহাবুদ্দিন আহমেদ অস্ট্রেলিয়া বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বোয়ালমারী বিএনপির সংবর্ধনা আলফাডাঙ্গায় সিভিল সার্জন’র আশ্বাসে বিক্ষোভ মিছিল প্রত্যাহার করলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাদেবপুরে  ফুটপাত দখল করে টিনের ছাউনি দিয়ে পথচারীদের চলাচলে বাধা: ইউএনও বরাবর অভিযোগ  বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভিসি দেওয়ার অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের নওগাঁয় ব্র্যাকের সাংগঠনিক সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রায়পুরায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ নারী আটক সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ ১ মাদক কারবারী আটক গোপালগঞ্জ নবাগত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়

বরিশাল ল কলেজের শ্বশুর জামাইয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো স্থানীয়রা

বেলা শিকদার বরিশাল
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
61.1kভিজিটর


বেলাল হোসেন সিকদার: দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী আইন শিক্ষার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বরিশাল ল কলেজ।
বর্তমানে বরিশাল ল কলেজের নাম শহীদ এ্যাডভোকেট আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ আইন মহাবিদ্যালয় করা হলেও বরিশাল ল কলেজ নামেই পরিচিত এই প্রতিষ্ঠান।

কয়েক যুগের পুরনো প্রতিষ্ঠান বরিশাল ল কলেজের শুরু লগ্ন থেকেই বরিশালে নিযুক্ত জেলা প্রশাসকরা অত্র কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

হঠাৎ ০৯/০৫/২০২৩ইং তারিখ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আদেশে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বরিশাল ল কলেজে হাজির হন সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসেন।
বরিশাল ল কলেজে আনোয়ার হোসেন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি ল কলেজের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন ভাউচার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বরিশাল ল কলেজের আয় ব্যয়ের হিসাবের জন্য একটি চাটার একাউন্ট ফার্ম থেকে একজন চাটার একাউন্টের মাধ্যমে হিসাব-নিকাশ করা শুরু হয় যার দায়িত্বে ছিলেন এম. হায়দার আলী।

হায়দার আলীকে বরিশাল ল কলেজের হিসাব নিকাশ কি পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান বরিশাল ল কলেজে সভাপতি অবৈধভাবে তার আত্মীয় জামাইকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেন যাহার মধ্যে অন্যতম হলো আইন বহির্ভূত টেন্ডারবিহীন বরিশাল ল কলেজে উন্নয়নের নামে অর্থ খরচের ভাউচার এবং তিনি আরো বলেন ল কলেজের সভাপতির স্ত্রী কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় নির্বাচনী খরচের অনেক ভাউচার ল কলেজে দিয়েছেন যাহা দেখে আমি আপত্তি জানাই এছাড়াও অনেক ভাউচার যাহা আমার সামনে আনিনি হিসাবের সময়। আমি ল কলেজের শিক্ষক কমিটির সদস্য এক শিক্ষিকাকে হিসাব-নিকাশের ভাউচারে আপনি কোন স্বাক্ষর করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন স্বাক্ষর করিনি ল কলেজের হিসাব নিকাশের ভাউচারে।

সেই শিক্ষিকার স্বাক্ষর জাল করেছেন বলে অভিযোগ করেন চাটার একাউন্টার এম. হায়দার আলী।হায়দার আলী আরো বলেন ল কলেজে সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও তার জামাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সকল আইন বহির্ভূত বরিশাল ল কলেজের অর্থ খরচ করেছেন এবং তিনি বলেন এত বড় একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রায় সময়ই অফিসকক্ষে এসে একটি চেয়ার নিয়ে বসে থাকে যাহা শিক্ষকরাও বিরক্ত বোধ করে আমাকে অনেক শিক্ষকই এমন অভিযোগ করেছেন।

হায়দার আলী আরো বলেন আমাকে বিধি মোতাবেক বরিশাল ল কলেজ থেকে হিসাব নিকাশের জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও আমি স্বচ্ছ হিসাব নিকাশ করায় তারা আমার হিসাব নিকাশের রিপোর্ট গ্রহণ করেনি।

হায়দার আলী আরও বলেন বরিশাল ল কলেজে যিনি এখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন তার এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা হলো সম্পূর্ণ অনিয়ম কারণ তিনি অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য এই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেয়েছেন আমি যখন অধ্যক্ষের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কোন পেপার দেখতে চেয়েছি তা কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেখাতে পারেনি বরিশাল ল কলেজ টি সম্পূর্ণ অনিয়মের উপর চলছে বলে মন্তব্য করেন হায়দার আলী।চাটার একাউন্টার এম. হায়দার আলীর সাক্ষাৎকারের সকল কথা অডিও রেকর্ডিং রয়েছে দৈনিক আলোকিত বরিশালের সংরক্ষণে।

বরিশাল ল কলেজের সভাপতির উপরে হামলার ঘটনার বিষয় জানার জন্য বরিশাল ল কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপ-অধ্যক্ষকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

বরিশাল ল কলেজের সভাপতির উপার কেন হামলা হয়েছে এ বিষয়ে জানার জন্য স্থানীয় আরিফুর রহমান অপুকে ফোন করলে তিনি জানান বরিশাল ল কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শশুর জামাই হওয়ায় তারা কলেজের উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ করতেছে এবং বরিশাল ল কলেজের সামনে অবস্থিত অমৃত ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী বিজয় বাবুর কর্মচারীরা জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ায় ল কলেজের সভাপতি তাদেরকে গালাগালি করায় স্থানীয়রা ও অমৃতের কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে ল কলেজের সভাপতির উপর হামলা চালায় যাতে তিনি আর এ কলেজে সভাপতি থেকে কোন দুর্নীতি না করতে পারে।অপু আরো বলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়া ও দুর্নীতি করা এটা আনোয়ার হোসেন এর পরিবারের একটি ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে নগরীতে।

বরিশাল ল কলেজের স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায় আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী তার ভাই এরা একেকটা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে অর্থনৈতিকভাবে যার অনেক প্রমাণ আছে নগরীর অনেক প্রতিষ্ঠানে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। তারা আরো বলেন এই পরিবারে কোন লোক যাতে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব না পায় সেজন্য বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আরো বলেন বরিশাল ল কলেজ আমাদের ঐতিহ্য তাই এই ল কলেজের সভাপতি দায়িত্ব থেকে দুর্নীতিবাজ আনোয়ার হোসেনের দ্রুত অপসারণ চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল সদর হাসপাতাল রোডের এক বাসিন্দা রাজনীতিবিদ তিনি জানান আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী এর পূর্বেও একটি এনজিওর নামে ৬ শত পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে তাদের থেকে টাকা নিয়ে স্বামী স্ত্রী উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেছে যার জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে ভুক্তভোগী উক্ত ছয় শত পরিবার। তারা অনেকের ধারে ঘোরাঘুরি করেও কোন প্রতিফল পায়নি কারণ আনোয়ার হোসেন মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর তারা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ছাদেক অনুসারী হওয়ার কারণে। তিনি আরো বলেন আনোয়ার হোসেন সরস্বতী স্কুলের সভাপতি হওয়ার পর সরস্বতী স্কুল একেবারে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন যাহা নগরীর সকলেই জানে। আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীর দুর্নীতির বিষয় নিয়ে অনেক পত্র পত্রিকায়ও লেখালেখি হয়েছে যাহার প্রমাণ আলোকিত বরিশালের সংরক্ষণে রয়েছে।

বরিশাল ল কলেজের একজন স্টাফ নাম প্রকাশ না করা শর্তে সাংবাদিকদের কে বলেন আনোয়ার হোসেন বরিশাল ল কলেজের সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পরই অবৈধভাবে ল কলেজ এর অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য প্রথমে তিনি টেকনিক করে সকল শিক্ষকদেরকে আইনবহির্ভূত মাসিক ১০ হাজার টাকা করে সম্মান বাড়িয়ে দিয়ে আনোয়ার হোসেন কলেজের সকল শিক্ষককে তার অনুসারী করার চেষ্টা করে এবং ল কলেজের দুজন প্রবীণ শিক্ষককে একক ক্ষমতায় আনোয়ার হোসেন বাদ দিয়ে নতুন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময় তিনজন শিক্ষককে নিয়োগ দেন যাহা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। উক্ত ৩ জনার ল কলেজে নিয়োগ পাওয়ার মত কোন যোগ্যতাই নেই।

তিনি আরো বলেন ল কলেজের এফডিআর ফান্ডে অনেক টাকা থাকায় সেই অর্থ অবৈধভাবে উত্তোলন করার জন্য আনোয়ার হোসেন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে ল কলেজের গভার্নিং বডির যারা সদস্য ছিলেন তাদেরকেও তিনি বাদ দিয়ে আনোয়ার হোসেনের পছন্দমত গভার্নিং বডির সদস্য নিয়োগ দেন। তিনি আরো বলেন আনোয়ার হোসেন বরিশাল ল কলেজের অর্থ দিয়ে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও তিনি নিজে এক কালারের কমপ্লিট সুট বানান। উক্ত এক কালারের কমপ্লিট সুট নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন বলেন উক্ত স্টাফ।

সদ্য বিদায়ী বরিশাল ল কলেজের অনেক ছাত্র-ছাত্রীরাই জানান আনোয়ার হোসেন সভাপতি হওয়ার পরে বিভিন্নভাবে ভাউচার দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে টাকা নিয়ে উক্ত টাকা খরচ করার কথা বলেও খরচ করেনি। আনোয়ার হোসেন বরিশাল ল কলেজের সভাপতি হওয়ায় ল কলেজের সাবেক বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যেও খোব বিরাজ করছে যেকোনো সময় বরিশাল ল কলেজে তার প্রতিফলন হতে পারে বলে দাবী করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বর্তমান ও সদ্য বিদায়ী ছাত্র ছাত্রীরা।

বরিশাল ল কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা সাংবাদিকদের বলেন দুর্নীতিবাজ অর্থলোভী আনোয়ার হোসেন কে বরিশাল ল কলেজের সভাপতির দায়িত্ব থেকে দ্রুত অপসারিত না করা হলে কয়েক যুগের ঐতিহ্যবাহী আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। তারা বলেন বরিশাল ল কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই চায়না তিনি এই সভাপতি দায়িত্বে থাকেন।

তিনি ল কলেজের জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠেছেন প্রায় দিনই কলেজে এসে বসে থাকেন এবং বিভিন্নভাবে ভাউচার দিয়ে কলেজের অর্থ খরচ করেন। তিনি সভাপতি হওয়ার পর বরিশাল ল কলেজের দুইটি অনুষ্ঠানের নামে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার সহধর্মিকে এনে তাদেরকে দেওয়া উপহারসহ তাদের আপ্যায়নের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন উক্ত খরচ করা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অযৌক্তিক। তাই আমরা আনোয়ার হোসেনকে বরিশাল ল কলেজের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই না।

বরিশাল ল কলেজের সভাপতি আনোয়ার হোসেন কে বরিশাল ল কলেজের দুর্নীতি এবং অমৃত ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী বিজয় বাবুর কর্মচারীরা জাতীয় নির্বাচনে আ’লীগে ভোট দেওয়ায় তাদেরকে গালাগালি করায় আনোয়ার হোসেনের উপরে ০৯/০১/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যার পরে হামলা হয়েছে কিনা সেই বিষয় জানার জন্য আনোয়ার কে ফোন করে জিজ্ঞেস করলে আনোয়ার আলোকিত বরিশাল কে বলেন আমার উপরে হামলা করেছে একদল সন্ত্রাসীরা কেন সন্ত্রাসীরা আপনার উপরে হামলা করেছে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান এবং আনোয়ার যে ল কলেজের অনেক টাকা উন্নয়নের নামে আত্মসাৎ করেছেন তার আত্মীয়কে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে এবং তার স্ত্রীর কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় ল কলেজের টাকা খরচ করছেন কিনা উক্ত বিষয় জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই তিনি রেগে যান এবং ফোন কেটে দেন।

আনোয়ার হোসেনের সকল দুর্নীতি এবং বরিশাল ল কলেজের দুর্নীতির বিষয় নিয়ে শীঘ্রই প্রতিবেদন আসছে চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x