ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আইনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোরে খাল পাড়ের গাছ কর্তন অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক মেম্বরের বিরুদ্ধে।
একই উপজেলায় বুড়াইচ ইউনিয়নে পাকুড়িয়া গ্রামে সাবেক ইউপি মেম্বর মো. মিটু মোল্লা বিরুদ্ধে সরকারী খাল পাড়ের দুইটি বড় বড় রেন্টি গাছ কাটা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১২ জানুয়ারি শুক্রবার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের জাবেদ মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে পাকুড়িয়ায় প্রধান সড়কের খালের উপর সরকারি ব্রীজ। ব্রীজের উত্তর পশ্চিম পার্শে খাল পাড়ে অবস্থিত দুইটি বড় রেন্ট্রি গাছ অবৈধভাবে ক্ষমতার জোরে স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বর মো. মিটু মোল্যা লেবার দিয়ে কাটাচ্ছিলেন।
গাছের অনুমান বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকা। এই গাছ দুটি কাটার জন্য গাছের গোড়ায় গর্ত করে মাটি খুড়ে গাছ কাটছে। এতে খালের পাড় ধ্বসে পড়ে যাবার সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সরকারি খাল পাড়ের গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, মিটু মোল্যা মুক্ত খবরের স্টাফ রিপোর্টারকে বলেন, "আমি আমার রেকর্ডি সম্পত্তির গাছ কাটাচ্ছি, এখানে কারো কিছু বলার নাই, সরকারি লোকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ারও কিছু নাই । কিছু শুনতে হলে আমার ভাই সৈয়দ বাশার তার থেকে শুনে নিবেন। খাল ও আমার রেকর্ডি সম্পত্তির মধ্যে দিয়ে কাটা হয়েছে।কিছু দিন আগে খাল খনন করেছে।
স্হানীয়রা বলেন,খালটি বহু বছরের পুরাতন,খালটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েক বছর হলো খনন করেছে।দুই পাড় ও জলাশয় সবই সরকারি। গাছ কাটতে হলে সরকারের কাছে থেকে অনুমতি পত্র নিতে হয়।
বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু বলেন, বিষয়টা আমি জানি না। তবে সরকারি জায়গায় এই খাল, ওয়াপদার জায়গা থেকে কারো এভাবে গাছ কাটার সুযোগ নাই।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল মুক্ত খবরকে ফোনে জানান,আপনাদের মাধ্যামে গাছ কাটার খবর জানতে পেলাম, সহকারি ভুমি কমিশনারকে আমি বিষয়টি অবগত করেছি জায়গাটা সরকারি না মালিকানা সেটা মেপে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ