কবিতাঃ মহা মানবের আগমন
লেখকঃ মাহাতাব উদ্দিন
জন্মে তোমার হাসিলো ধরা পুলকিত হল বিশ্ব
শৈশবে তুমি হারালে জননী কৈশরে হলে নিঃশ্ব।
ন্যায় নিষ্ঠায় তুমিই সেরা হয়না তোমার তুল্য
নির্বোধ জনে বোঝেনা মনে দেয়না তব মুল্য।
সত্যবাদিতায় সেরা যে তুমি তুমি-ই আল-আমিন
কত বাধা কত সাথীরে হারায়ে কায়েম করিলে দ্বীন।
তায়েফের মাটি রঞ্জিত হল তোমারি রক্তের ধারা
ফেরেশ্তা সব কেঁদেছে অঝরে হয়েছে দিশে হারা।
তোমার হুকুম পেলে দিতে পারি পাহাড় চাপায়ে সব
তুমি যদি চাও প্রতিশোধ তার দানিবে তোমার রব।
কহিলে তুমি হে প্রভু দয়াময় হে রহিম রহমান
ওদের মারিলে ডাকবে কে তোমা গাইবে তব শান।
নিজের জন্ম ভুমির তরেতে রেখে কত দয়ামায়া
পরদেশে তুমি করিলে গমন পেতে পরভুমি ছায়া।
পিতা পিতামহ ধর্মতে কালি ক্ষোভেতে পড়িল ফেটে
তোমায় মারিতে কাফেরের দল শলা ফন্দি ফেলে এঁটে।
মক্কাতে তাই হল নাতো ঠাঁই সেরা মহা মানবের
ছাড়িলে ও ভুমি নিশি প্রহরেতে হুকুমেতে মনিবের।
পথে ছিল এক গিরির গুহা দিনের আলো ফুটিলে
চারিদিকে চোখ শত্রুর ঝোঁক গুহাতে আশ্রয় নিলে।
সওর গুহায় চমকিত নুরে সেরা বিশ্ব মানব রবি
কাফেরের দল খুঁজে ফেরে পায়নিতো তার ছবি।
চারিদিক ছুটা ঘোড়ার খুড়ে খুড়ে শত্রুর পদধ্বনি
বিখ্যাত কত বীর লড়াকু কত রক্তচক্ষু কত খুনি।
খুঁজিয়া তোমারে গুহা মুখ পানে চাহিয়া কেউ বলে
পাখীর বাসা জালে মাক্রোসা কেউ কি আছে তলে!
বলে আবুবকর দু’জনে মোরা আর নাহি পরিত্রাণ
রাসুল কহেন,আল্লাহ মোদের আছেন চির মহীয়ান।
ভয়ংকর এক বিষধর সাপ রাসুলের আগমন তরে
সময় দিন ক্ষণ গোণিতে থাকে আশ্রিত সে গুহাঘরে।
মাথার পাগড়ি ছিঁড়িয়া ছিঁড়িয়া সেই সর্প গর্তে ভরে
একটি মুখ বাকি রহিল শেষে পা দিয়ে ঢাঁকে তারে।
সর্প ভীষণ ক্রোধভরে তারে সে পায়ে করে দংশন
শ্রান্ত রাসুল ঘুমিয়েছে কোলে তাই করে কষ্ট সংবরণ।
বিষের তোপে জ্বলে সারা দেহ আর সহে না তাতে
দু’চোখ ভরে অশ্রু গড়ে পড়ে নবীজির চেহারাতে।
আবুবকর! তুমি কাঁদছো অঝরে! জন্ম ভুমি তরে?
না! হে রাসুল! আপনার আপদে নয়নে জল গড়ে।
সে দিনের সেই সওর প্রান্থে নামিলো ধরায় চাঁদ
ধরার আদর্শ মক্কা ছেড়ে হল মদীনার আশীর্বাদ।
মদীনার নর নারী পুলকিত সবে পেয়ে খুশি তাঁরে
বরণের গান গাহিয়া গাহিয়া ভাসে খুশির ভারে।