ভিকটিম এর মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যাকারী গ্রেফতার।
ঘটনা: গত ১৫ জানুয়ারি সকাল অনুমান ০৮:৪৫ ঘটিকায় ভিকটিম সালমান হোসেন (৪), পিতা-মোঃ আবু হাশেম, সাং-আলোকচর পূর্বপাড়া, থানা-আতাইকুলা, জেলা-পাবনা হঠাৎ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের কিছুক্ষণ পরে হত্যাকারী ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে টেলিগ্রাম আপস ব্যবহার করে ভিকটিমের চাচাকে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। অন্যথায় ভিকটিম কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এরই সুত্র ধরে পাবনা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মো: আকবর আলী মুনসী মহোদয়ের নির্দেশনায় অতি: পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের তত্ত্বাবধানে আতাইকুলা থানা পুলিশ এবং ডিবির একটি টিম কাজ করতে থাকে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামি ভিকটিম এর চাচাতো ভাই মো: ফয়সাল হোসেন (২৩) কে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামীর দেওয়া ম্যাসেজের একটি শব্দের (ক্ষতি/খোতি) বানানকে সুত্র ধরে পুরো ঘটনার রহস্য উদঘটিত হয় এবং আসামী ফয়সাল পুরো ঘটনা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে তার শয়ন কক্ষের স্টীলের বাক্স হতে ভিকটিম সালমান হোসেন এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আসামী ফয়সাল হোসেন ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রযুক্তি বিদ্যায় পারদর্শী। স্থানীয় একটি আই টি স্কুলে শিক্ষকতা ও করেন। অনলাইন জুয়া এবং প্রতারণার সাথে ও জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় ৮/১০ লক্ষ টাকা ধরা খেয়েছিলেন। এই টাকা উঠাতে গিয়ে তার চাচা আবুল হোসেন (স্কুলের শিক্ষক) এর একমাত্র শিশু পুত্র সালমান (৪) কে টার্গেট করেন। জানাজানি হওয়ার ভয়ে ছোট্ট শিশু সালমান কে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।