শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের পটিয়াতে বাসের পেছনে বাসের ধাক্কা,নিহত ২ বোয়ালখালীতে চোরাই মদসহ গ্রেপ্তার এক ৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান গঙ্গাচড়ায় বেতগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে ফরম বিতরণ গেপালগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলা সমাপ্ত নওগাঁ এডুকেশন  ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত  নওগাঁয় প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তী; স্থাপন বন্ধের দাবী চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক এয়ারপোর্ট থানাপুলিশের অভিযানে অটো রিক্সা ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য আটক কেয়ার একাডেমির উদ্যোগে  ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান

সরকারি জায়গা দখল করে স্মৃতি সংসদ করার অভিযোগ।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম প্রতিনিদি
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪
56.6kভিজিটর

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সরকারি জায়গা দখল করে শেখ জামাল স্মৃতি সংসদ স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে এস এম ইয়াছিন নামের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি এই স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা যায়। উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের কালাইয়ার হাট বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে ছাত্রলীগ নেতা এস এম ইয়াছিন এই স্মৃতি সংসদটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ইয়াছিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কালাইয়ার হাট বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক।বাজারে তার কোন দোকান না থাকা স্বত্ত্বেও বাজার সমিতিক সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের দাপট দেখিয়ে রাতারাতি এই স্মৃতি সংসদটি তৈরি করেন বলে জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়ীরা।

বাজার ব্যবসায়ী মো. খোরশেদ সওদাগর বলেন, বাজারের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরপর এই সরকারি জায়গাটি দখল করেছে সে। স্মৃতি সংসদের নিচের মেঝে করার কথা বলে কোন ব্যবসায়ী থেকে বালু আবার কোন ব্যবসায়ী থেকে সিমেন্ট দাবী করে এই স্মৃতি সংসদটি স্থাপন করেছে এস এম ইয়াছিন।

এই স্মৃতি সংসদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে তেড়ে মারতে আসে ও মামলা দেয়ার হুমকি ও দেয়। ছাত্রলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে বাজারের সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ তার নামে। এছাড়া শেখ জামাল স্মৃতি সংসদের পাশে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি আদর্শ সংসদও গড়ে উঠেছে সরকারি জায়গায়।

শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের বর্তমান সভাপতি মো. কায়ুম। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমুচিয়া ইউনিয়ন শাখার প্রচার সম্পাদক ও স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি আদর্শ সংসদটির প্রতিষ্ঠাতা বাঁচা মিয়া বৈদ্য। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে আজগর আলী নিক্সন সেটি পরিচালনা করেন বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতি সংসদগুলো পাশাপাশি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথমে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ তারপর শেখ জামাল স্মৃতি সংসদ এবং পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি আদর্শ সংসদ সরকারি জায়গা দখল করে নিয়েছে। স্মৃতি সংসদের উপরে শেখ হাসিনা পরিবারের বিভিন্ন জনের নাম দিয়ে ব্যানার সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে এবং সম্মুখে শেখ হাসিনার ছবিসহ বিভিন্ন নেতার ছবি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলেন, স্মৃতি সংসদে এসব ছবি আর নাম দেয়ার একমাত্র কারণ হলো বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম বিক্রি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা। এসব ক্লাবের নামে সরকারি জায়গা দখল ছাড়া আর কিছু নয়। অপরদিকে ক্লাবের পিছনে গোডাউন তৈরি করে সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. নাছের সওদাগর। এছাড়া মো. সরোয়ার সওদাগর ও শাহ্ আলম সওদাগর বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করছে বলে জানা যায়।

কালাইয়ার হাট বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে স্মৃতি সংসদ ও দোকান নির্মাণের বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজারের ইজারাদার আব্দুল ছত্তার। জানতে চাইলে এস এম ইয়াছিন বলেন, সরকারি জায়গায় দলীয় কার্যালয় করেছি শেখ জামালের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য। এই ক্লাব থেকে দলীয় কার্যক্রম চালাই এবং মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য যুবকদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করে থাকি। আমি তো খারাপ কিছু করছি না। শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মো. কায়ুম বলেন, জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

২০১৫ সালে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে সেটি স্থাপন করেছিলাম। ব্যবসায়ী মো. সরোয়ার সওদাগর বলেন, এই দোকানটি বিগত ৫০ বছর আগের দোকান। এখন দোকানটি করা হয় না। আছে হিসেবে এভাবে পড়ে আছে।ব্যবসায়ী শাহ আলম সওদাগর বলেন, এই দোকানটি আমার না। আমি মুসলিম মেম্বার থেকে ভাড়া নিয়েছি। আরেক ব্যবসায়ী নাছের সওদাগর বলেন, আমি এটি ইজারাদার থেকে ভাড়া নিয়েছি।

আমুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল দে বলেন, আমি আইন শৃঙ্খলা মিটিং এর সভায় এটি উপস্থাপন করবো যাতে বাজারের জায়গায় বাজার বসতে পারে। এসব স্মৃতি সংসদের নামে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে তারা। বাজারের সম্মুখে এসব ক্লাবের কারণে বাজারের ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমুচিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীন বলেন, আমি উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী বলেন, আমি এখনো এ বিষয়ে জানিনা। খবর নিব, যদি সরকারি জায়গা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x