ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অনুমোদনহীন ট্রাক্টরে বডি লাগিয়ে তাতে মাটি বহন করে গ্রামীণ সড়ক নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে মাটি ব্যবসায়ী আলিমের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের মো. টুকু মোল্য, সত্তার মোল্যা ও বাদশা মোল্যার জমি কুটিরপাড় গ্রামে কবির শেখের বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ভরাট কাজে বিক্রি করছে মাটি ব্যবসায়ী কাদিরদী গ্রামের আলিম শেখ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইচাখালী কান্দাকুল গ্রামের সংযোগ ও কুটিরপাড় মদনধারী গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ৮-১০টি ট্রাক্টরে মাটি বহন করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলাচল করে।
মাটি ব্যবসায়ী আলিম ওই জমির মাটি বহন করে কান্দাকুল গ্রামের লিটন নামের এক ব্যক্তির খাদে ৬ লাখ টাকায় ভরাট করছে। অপর দিকে একই গ্রামের তজিবর মিলিটারির খাদ ৩ লাখ টাকায় ভরাট করছে।
জমির মালিক বাদশা মোল্যা বলেন, আমাদের পুরাতন পুকুরের পাড়ি থেকে কিছু মাটি আলিম বাহিরে বিক্রি করছে। তার বিনিময় আমাদের কোন টাকা পয়সা দিবে না। তবে পুকুরের পাড়ি বেঁধে দিবে। মাটি বহন করা এটা গুরুত্বর অপরাধ স্বীকার করেন এ জমির মালিক
জমির আরেকজন মালিক টুকু মোল্যা বলেন, পুকুর কাটতে বা বাড়াতে প্রশাসনিক অনুমতি লাগে কিনা সেটা জানিনা। কোন অনুমতি নেইনি। পুরাতন পুকুর সামান্য বড় করছি।
স্থানীয় লোকজন বলেন, জমির মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা। মাটি ব্যবসায়ী ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি বহন করে গ্রামের রাস্তা নষ্ট করছে। সেই সাথে গাড়ির শব্দ, ও ধূলা বালুর কারণে রাস্তা ঘাটে বের হতে পড়ছিনা। এমন কি মাটি বহণের কারণে আশ পাশের বাড়ি ঘর ধূলা বালুতে ভরে যায়। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মাটি বহন বন্ধের দাবী জানান। মাটির রাস্তা যেন নষ্ট না হয়।
ময়না ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়ীত্বরত ভূমি কর্মকর্তা শেখ মো. ফরিদ বলেন, মাটি ব্যবসায়ী আলিমকে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে মাটি কাটা বহন করা সম্পূর্ণ নিষেধ। মাটি কাটলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, কোন প্রকার জমির মাটি কাটা, বহন করা সম্পূর্ণ নিষেধ। ঘটনা স্থলে গিয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ