জামালপুরের মেলান্দহ ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের আইন শৃঙ্খলা এবং সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন।
২৫ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বরাবরের মতো এবারও মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে সভার আহব্বান করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যানদের কেও উপস্থিত হননি। ফলে প্রথম ধাপে ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াই আইন শৃঙ্খলার মিটিং সম্পন্ন হয়।
পরের ধাপে উপজেলা পরিষদের নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভায়ও চেয়ারম্যানদের কেও যোগদান করেননি। ফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, নবাগত ইউএনও একেএম লুৎফর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ইউনুছ আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আখতারসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারাও বিব্রত বোধ করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাননি। অবশেষে উপজেলা চেয়ারম্যান সমন্বয় কমিটির সভা স্থগিত করে চলে যান। এর আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত সূধিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান-নবাগত ইউএনও’র সাথে আমাদের বনিবনা হচ্ছে না। সমন্বয়হীনতায় ভোগছি। এ জন্য কেও মিটিংএ যাইনি। নয়ানগর ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আলম শাহাবুদ্দিন জানান, ইউএনও গ্রাম পুলিশদের বেতন আটকে দিয়েছে। সংসদ নির্বাচনের দিন আমাদের এক চেয়ারম্যানকে অসম্মান করেছেন। এমন আরো কিছু কর্মকান্ডে আমাদের মাঝে দুরত্ব হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নবাগত ইউএনও একেএম লুৎফর রহমান জানান-আমিতো নির্বাচনের আগ মুহুর্তে যোগদান করেছি। কারোর সাথে আমার ওইভাবে পরিচিতও হবার সুযোগ পাইনি। আমি এখনো কোন প্রকল্পের কাজে হাত দেয়নি। কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথাটা ঠিক না। গ্রাম পুলিশদের বেতন আটকানোর বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশদের চাকরির বয়স, ভোটার আইডির বয়স, এমনকি চাকরির ক্ষেত্রে বয়স সীমারও অসঙ্গতি আছে। এটা ঠিক করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। এটা রাষ্ট্র এবং গ্রাম পুলিশদের স্বার্থেই বলেছি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ