লালমনিরহাটের পাটগ্রামে স্থানীয় জনসাধারণের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া ও নানাভাবে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ভুক্তভোগি পরিবারের আয়োজনে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এ সংবাদ সম্মেলন শেষে আধাঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পঁয়ষট্টিবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিএম কাদের ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুল ইসলাম সোহেল।
বক্তব্যে জানানো হয়, ৬১ (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের অধীনে পঁয়ষট্টিবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পটি স্থাপনের একবছর না হতেই সীমান্তের নিরীহ জনসাধারণের নামে পাটগ্রাম থানায় ১০ থেকে ১৫ টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।
সবক’টি মামলা ভারত থেকে গরু আনা সংক্রান্ত। চোরাচালান বা মাদকের কোনো মামলা করেনি বিজিবি। মামলায় যে সব স্বাক্ষীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা কোনোকিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত দিয়েছে স্বাক্ষীরা। মামলায় সীমান্ত এলাকার দিনমজুর, শিক্ষার্থীসহ নিরীহ লোকজনদের আসামী করা হয়েছে। আসামীরা ওই ক্যাম্পের কমান্ডারের কাছে মামলার ব্যাপারে জানতে গেলে তিনি কিছু জানেন না জানিয়ে বলেন, সিও নাম ও তালিকা দিয়েছে।
বিজিবি স্বাক্ষীদেরকে মাদক, চোরাচালান মামলা দেওয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছেন। এরমধ্যে ক্যাম্পের বেঁড়া কাঁটা কেটে আবারও স্থানীয়দের নামে মামলা দায়েরের অপচেষ্টা করছেন বলে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে আউলিয়াহাট- বুড়িমারী স্থলবন্দর সড়কে আধাঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে স্থানীয়রা।
পঁয়ষট্টিবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘দুইদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। মামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘মামলা ও সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে জেনেছি। মামলার অবশ্যই তথ্য প্রমাণ আছে। আদালত এটার বিচার-বিশ্লেষণ করবেন এবং পুলিশের আইও (তদন্ত কর্মর্কতা) যাচাই-বাছাই করে দেখবেন।’