ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার জেরে এক কৃষককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।আলফাডাঙ্গা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ওসি শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্রে, তারা শেখ বাদী হয়ে ঐ দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,পরে মামলা রুজু হয়।মামলা নং ০৩ জিআর নং ১৫/২৪, সময় ১২.১৫ মিনিট।
আহত হলেন,সদর ইউনিয়নে বিদ্যাধর গ্রামের তারা শেখের ছেলে মো. হাবিব শেখ।
অভিযোগ সূত্রে, আহত হাবিব ফরিদপুর -১ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান সমর্থক। অন্যদিকে অভিযুক্ত একই গ্রামে ইউপি সদস্য সৈয়দ শরিফুল ইসলাম সরফেজ গং পরাজিত ঈগল প্রতিকের প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের কর্মী।
স্বজনরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় নিজ জমিতে কাজ শেষে বাড়িতে এসে বুন্ধুদের ফোন মহিষারঘোপ বাজারে যাচ্ছিল হাবিব। পথে মন্টু মোল্যার বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য ও তার লোকজন হাবিবের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে( হাবিব) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাক্ত জখম করা হয়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এরপর আহত হাবিবকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতের বাব তারা মোল্যা বলেন, আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম। সংসদ নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হয়। এরপর থেকে পরাজিত লোকজন আমাদের গ্রামে শক্তিশালী হওয়ায় আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আগে থেকে পরিকল্পনা মোতাবেক আমার ছেলে হাবিবের ওপর ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম সরফেজ ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।এই মেম্বরের সকল অপকর্ম চালানোর শক্তি ও টাকার যোগানদাতা আমাদের গ্রামের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী তাজমিনুর রহমান তুহিন।
শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী তাজমিনুর রহমান তুহিন বলেন,আম ঢাকায় থাকি, সরফেজ মেম্বর একজন ভাল মানুষ ও সৎ তার কোন টাকা পয়সা নেই তাই তাকে টাকা দিয়ে মেম্বর বানাই।দল চালাই দলের জন্য কাজ করতে হবে।যে কেন বিপদ আপদে সাহায্য করবো।হাবিব আমার চার পাখি জমি বর্গা করে।আমি গ্রামে কখনো খারাপ কাজ করি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. আবিব হোসেন বলেন, আহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ৭ টি সেলাই,বাম কোপের দাম ও হাড় ভেঙ্গে গেছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন,আমি ঘটনার সময় নড়াইলে ছিলাম।তবে গ্রামে দল চালাতে হলে যে কেহই দলের নেতৃত্ব দিতে হয়।তাই আমি দলের নেতৃত্ব দেই,আমার দলের লোক মেরেছে। এটা রাজনৈতিক হামলা হয়নি।
তবে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ওসি চার্জ অফিসার শামিনুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে