এক সময় যাদের জায়গা ছিল না; ঘর ছিল না। মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাদেরকে জায়গা দিয়েছেন, ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রত্যেকটি পরিবারকে তাঁদের বাসস্থান নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবেনা।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের কাতলাসুর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের যোগীবরাট আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এমপি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসীদের শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এ সময় পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের যোগীবরাট আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে আসলে মন্ত্রী আব্দুর রহমানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী। আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসন থেকে বিপুলসংখ্যক ভোটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত হওয়ার পর আজ প্রথম শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রথম আলফাডাঙ্গায় প্রবেশ করলে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন। পরে উপজেলা হলরুমে সকল পর্যায়ের অফিসারদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন আব্দুর রহমান।
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম আলফাডাঙ্গাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মতবিনিময় সভায় বলেন, এটা আমার জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এই স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দিয়েছেন। সেই দায়িত্ববোধ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের অভাব অভিযোগ এবং ন্যায় বিচারকে সুনিশ্চিত করতে চাই।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বচ্চো মর্যাদা আমি ভোগ করেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মত প্রাচীনতম দলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা ভোগ করেছি, এখনো এই দলের নীতি নির্ধারনী পদের একজন হয়ে কাজ করছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার চাইবার, আকাঙ্খার, নিজের মনের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠার কোন লোভ লালসা নাই।
উপজেলার সকল কর্মকর্তা উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। আন্তরিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন আপনাদের দায়িত্বপালনের মধ্যে যেন একটি মানবিক দিক থাকে সেইভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেই দায়িত্ব পালনে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, বাধা বা কোন অযাচিত হহস্তক্ষেপ আমি বরদাস্ত করব না। কেউ অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করলে আপনারা তা মেনে নিবেন না, আমাকে আপনারা ন্যায়ের পাশে পাবেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনসহ ও সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমীন ইয়াছমীন, থানার ওসি সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম সুজা,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য তৌহিদুর রহমান মুক্ত, পৌর মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, এসএম মিজানুর রহমান মিজান, প্রমুখ।
মন্ত্রী আব্দুর রহমান পরিদর্শনকালে আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারী অভিভাবকদের উদ্দ্যেশে বলেন, আপনাদের সন্তানদের পড়াশুনার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন, যারা পরিবেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখবেন তাঁদেরকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। তিনি সেখানকার নারীদের সমিতি গড়ে বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠার পরামর্শ দেন।
‘স্বপ্ননগর‘ প্রকল্পে বসবাসকারী সবিতা দাস বলেন, ‘এর আগে অন্যের জায়গা থেকেছি। এখানে ঘর পাওয়ার পর থেকে নিজের জমি, নিজের ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারছি। আজকে এই আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আমাদের মন ভরে গেছে। তিনি আমাদের খোঁজ খবর নিতে এসেছেন। সামনে আমাদের যেকোন বিপদ আপদে মন্ত্রীকে কাছে পাবো আশা রাখছি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ