বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানীয়া ইউনিয়নের বাড়ইয়া গ্রামে ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির মহা উৎসবে মেতেছে (মাটি ব্যবসায়ী) ভূমিদস্যুরা। একনাগাড়ে চলছে অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। কৃষি জমি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর কুপ।
এদিকে, একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় জমি হারাচ্ছে উর্বরতা, আবার অন্যদিকে কমে যাচ্ছে কৃষি জমির পরিমাণও। জমি মালিকেরা মোটা অঙ্কের অর্থের লোভে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছেন এসব ভূমিদস্যুদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, মেমানীয়া ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় আবাদি জমির মাটি ৪/৫ ফুট ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার পর বের হয় বালু এরপর বসানো হয় বালু উত্তোলনের ড্রেজার।
পুকুর তৈরি ও জমির মাটি টাকার বিনিময়ে ইটভাটা মালিকদের কাছে বিক্রির করছে অসাধু বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা । ভারইয়া গ্রামের মাঠে গত দুই বছরের অধিক সময় যাবত চলছে মাটিকাটা ও বিক্রির এই অবৈধ কর্মকাণ্ড ।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক চাষীরা জানান, ‘বিলের মধ্যে পুকুর খনন করাই নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি,মহলটি প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কোনোভাবেই জমিকাটা বন্ধ করতে পারছি না। তাই আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে মাটি বিক্রি ও আবাদি জমিতে পুকুর খননের কাজ বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী ছিদ্দিক খলিফা,শহিদ মোল্লা প্রতিফুট বালু ইটের ভাটার মালিকদের নিকট ছয় থেকে ৭ টাকা দামে বিক্রি করেন, তারা দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজার গুলো চালিয়ে আসছেন এতে করে মেমানীয়া ইউনিয়নের ভারোইয়া গ্রামের একটি বিল প্রায় বিলিনের পথে, প্রশাসন আসলে তারা সরঞ্জাম রেখে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল আজাদ জনি বলেন, ‘এভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার বা কৃষি জমিতে পুকুর করার কোনো নিয়ম নেই। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। কোনো ব্যক্তি নিজের জমিতেও এই কাজ করতে পারবেন না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ‘বর্তমানে যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনিভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কাটার কাজ করে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’