ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেল পিকআপ সরাসরি সংঘর্ষে চাচা ভাতিজা নিহত হয়েছে। নিহত দু’জন মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। নিহতরা হলেন ময়না ইউনিয়নের হাটখোলারচর গ্রামের জিয়া শেখের ছেলে নাইম শেখ (২৪) ও একই গ্রামের মুহাম্মাদ শেখের ছেলে ইমরান শেখ (২৭)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বনমালিপুর নামক স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনা স্থল থেকে দুই জনকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। জরুরী বিভাগের ডা. সাবরিনা হক বলেন, দু’জনই ঘটনা স্থলে মারা যান। তবে তাঁদের মাথায় ও কপালে আঘাত লাগাতে ঘটনা স্থলে তারা মারা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুই জন সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। এদের মধ্যে ইমরান শেখ ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করেন। নাইম নামের অপর জনও বোয়ালমারীতে টাইলসের কাজ করেন।
ভাতিজার বিবাহের দাওয়াত খেতে রোববার ছুটিতে বাড়ি আসেন ইমরান। সোমবার ভাতিজার বিবাহ সম্পূর্ণ শেষ করে; মঙ্গলবার সকালে আরেক ভাতিজা নাইম মোটরসাইকেলে চাচাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মকসুদপুর থানার ঢাকা খুলনা মহাসড়কের মাঝিগাতি এলাকায় পৌঁছে দিতে যান। এসময় বনমালিপুর এলাকায় পৌঁছালে অপর দিক থেকে মাছ বোঝায় পিকআপের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ হয়ে ঘটনা স্থলে মোটরসাইকেলে থাকা চাচা ভাতিজা মারা যায়।
পিকআপ টি ঘটনা স্থলে উল্টে গিয়ে চালক ও হেলপার গুরুত্বর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধুর মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার উদ্দেশ্যে চাচা ভাতিজা মোটরসাইকেল যোগে মাঝিগাতি যাওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা পিকআপের সাথে সংঘর্ষ হয়।
ঘটনা স্থলে চাচা ভাতিজা মারা গিয়েছে। তবে পিকআপের চালক ও হেলপারের কি অবস্থা হয়েছে জানতে পারিনি। খোঁজ নেয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবার সড়ক দূর্ঘটনা আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করবেন। তবে চিকিৎসকের ছাড় পত্র পাওয়ার পর নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।