জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া কালিবাড়ি বাজারে একটি রড সিমেন্টের গুডাউনে প্রায় ১০ লাখ টাকা সম মুল্যের চালানবিহীন পেট্রোল ও ডিজেলের ঠ্যাংকলরী বিভিন্ন ড্রামে নামানোর সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিকরা।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাতে কেন্দুয়া কালিবাড়ি বাজারের পাশে কামালখান রোডে মের্সাস মদিনা এন্ড সম্রাট এন্টারপ্রাইজ, সরকার মার্কেটে রড- সিমেন্টের গুডাউনে বাঘাবাড়ি হতে আসা চালানবিহীন গাড়িতে রাতের আঁধারে ডিজেল ও পেট্রোল নামানো হচ্ছে। ওই গাড়ির রেজিঃ নং নাটোর-ঢ-৪১০০০১. স্থানীয় সুত্রে সাংবাদিকরা উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গাড়ির ড্রাইভার দুটি চালানের ফটোকপি সাংবাদিকদের প্রদান করে, যার কোনটি জামালপুর জেলা বা কোন ব্যক্তির নামে নয়।
এদের মধ্যে একটি টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকার ৯ হাজার লিটার ডিজেলের এবং অপরটি পাবনার ২শ লিটার পেট্রোলের। তাছাড়া দুটি চালনিই ভিন্ন দুটি ব্যক্তির নামে। উক্ত বিষয়টি সাংবাদিকরা মুঠোফোন সরকার মার্কেটের মালিক কেন্দুয়া বাজারের ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ ইদ্রিসী মনু সরকারকে জানালে তিনি খেপে যান এবং ঘটনাস্থলে লোকজন নিয়ে এসে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়।
এক পর্যায়ে তিনি ও তার লোকজন সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলেন এবং ওই গুডাউনের বাহিরের গেট আটকিয়ে দেন। এ সময় সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণকৃত ক্যামরা ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেল জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল হতে সাংবাদিকরা বের হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উক্ত তেলের গাড়িসহ তালিয়ে লাগিয়ে দিতে বলেন এবং দুজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় নিয়োগ দেন।
পরদিন রোববার সকালে তিনি গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা। এদিকে এই বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য সৌদি প্রবাসী একজন লোককে দিয়ে সাংবাদিকদের ছবি ও নাম দিয়ে একটি আইডি হতে মানহানীকর পোস্ট করান, যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও এডিট করা। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিকরা রাতেই জামালপুর সদর থানায় ইমতিয়াজ ইদ্রিসী মনু সরকারসহ ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ১নং কেন্দুয়া কালিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেল বলেন, রাতে ইউএনও এর নির্দেশে গাড়িসহ তেল রড সিমেন্টের গুডাউনে তালাবদ্ধ করে রাখি।
তবে গভীর রাতে ইউএনও আবার তেল গুলো দ্রুত আনলোড করে গাড়ি বের করে দিতে বলেন। স্যারের কথা আমাকে মানতেই হবে, তাই নিরুপায় হয়ে রাতেই গাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, সকালে আমি এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে রাতের আধারে গাড়ি ছেড়ে দেবার প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাব্বত কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, স্যারের সাথে পরামর্শক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ