বিআরটিসি ড্রাইভার জাকিরের অনৈতিক অনেক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে আছে যার অন্যতম প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতায় আছেন বরিশাল ডিসি অফিসের সার্কিট হাউজের নাজির নাসির সরদার। নাসির সরদার বরিশাল সার্কিট হাউজের নাজিরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্রায় পাঁচ বছর যাবত।
নাজির নাসির ও বিআরটিসি ড্রাইভার জাকির তাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ড আরো বেগবান করার জন্য একটি সংগঠন তৈরি করেন সেবক নামে যাহাতে শুধু মহিলাদেরকে সদস্য বানিয়ে তাদের থেকে কতিপয় মহিলাদেরকে নিয়ে সার্কিট হাউজে ড্রাইভার জাকির ও নাজির নাসির সরদার অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
তাদের সংগঠনের অফিস বরিশাল হাসপাতাল রোড অমৃত লাল দে কলেজের সামনে থাকলেও সেখানে কোন কার্যক্রম পরিচালনা না করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন সার্কিট হাউজে যা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। নাজিরকে উক্ত সেবক কমিটির সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে ঢাল হিসেবে তৈরি করে এ সকল অবৈধ অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে সেবক কমিটির সভাপতি ড্রাইভার জাকির।
এছাড়াও সেবক সংগঠনের সভাপতি জাকির সরকারি চাকরি করার পরেও অনেক লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছে। প্রতারক জাকির বিআরটিসির ড্রাইভার হয়েও অনেকের কাছেই ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে থাকেন। জাকিরের আছে একটি গাড়ির গ্যারেজ কাশিপুর ফায়ার সার্ভিস এর সামনে যাহাতে চলে অবৈধ গাড়ি বেচাকেনার মহা উৎসব এ সকল গাড়ি জাকির বেশিরভাগ নিয়ে আসে ভোলা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের বর্ডার বেনাপোল থেকে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ড্রাইভার জাকিরের একটি নিজস্ব টয়টা কোম্পানির প্রাইভেট কারও আছে যাহাতে তিনি নারীদের নিয়ে ঘোরাফেরা করেন এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেন বলে জানান নাম প্রকাশে না করার শর্তে জাকিরের সেবক সংগঠনের একাধিক নারী। জাকিরের বিআরটিসি অফিসের সহকর্মীরা বলেন জাকির ক্ষমতার প্রবাব খাটিয়ে ঠিকমতো অফিস করছেন না ও কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না ভয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল ডিসি অফিসের কর্মরত এবং নাজির নাসির সরদারের এলাকার অনেকই বলেন নাজির নাসির কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন অবৈধভাবে নাসির এর নামে বেনাম ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা রয়েছে, তাছাড়াও রয়েছে কোটি টাকার ল্যান্ড প্রপার্টি।
নাসিরের সকল অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে নাম প্রকাশ না করে দুদুকে ও বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিযোগ করবেন বলে জানান তার এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি।
বিআরটিসি ড্রাইভার জাকির ও নাসির একাধিক মহিলাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে বরিশাল সার্কিট হাউজে নিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ওইসব ভুক্তভোগী মহিলারা লোকো লজ্জায় ও তাদের সংসার ভাঙ্গার ভয়ে নাম ও পরিচয় প্রকাশ করছেনা বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
এই দুই লোকের সকল অবৈধ সম্পদ সরকার বাজেয়াপ্তকরণ সহ তারা যাতে আর অবৈধ কর্মকাণ্ড করতে না পারে এবং সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নিকট আকুতি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওইসব মহিলারা সহ সেবক নামক সংগঠনের অনেকেই।
বিআরটিসি’র ড্রাইভার জাকিরকে উপরোক্ত ঘটনার বিষয় জিজ্ঞেস করলে জাকির এগিয়ে যান। তিনি বিআরটিসি কোন পোস্টে চাকরি করেন তা জানতে চাইলে তাও তিনি খোলসা করে বলেননি সাংবাদিকদের কাছে।জাকির বলেন আমি এখন বরগুনায় আছি বরিশাল এসে আপনাদের সাথে দেখা করে বিস্তারিত বলবো তার নারি কেলেঙ্কারি ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
বরিশাল ডিসি অফিসের সার্কিট হাউজের নাজির নাসির সরদার এর কাছে তার সকল কুকর্মের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একত্রে সংগঠন করি তাই ড্রাইভার জাকির বরিশাল সার্কিট হাউসে আসে।
সার্কিট হাউজে এই সংগঠনের মিটিং করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা দু একটি মিটিং করেছি যাহা আমার ঠিক হয়নি, মহিলা কেলেঙ্কারি ও অবৈধ সম্পদের যে পাহাড় গড়েছেন সে বিষয়ে কি বলবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনাদের সাথে দেখা করে কথা বলব বলে নাজির নাসির সরদার ফোন কেটে দেন।
নাজির নাসির সরদার ঐদিন সন্ধার পরে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য তাদেরকে ফোন দিয়ে কাকুলির মোড়ের চায়না প্যালেস নামক একটি রেস্টুরেন্টে বসে আপ্যায়ন করান এবং অর্থনৈতিক ও অফার দেন যাতে সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে তার সকল অপকর্মের কথা পত্রিকায় তুলে না ধরেন।
এই দুই দুর্নীতিবাজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাক্ষাৎকার সহ তাদের সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সকল অবৈধ সম্পদের বিবরণ নিয়ে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন আসছে শিগ্রই।তাই চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।