গোপালগঞ্জে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কৃষি জমি নষ্ট করে খাল খননে সহযোগিতা সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়নবোর্ড (বাপাউবো) এর গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিলের বিরুদ্ধে কৃষি জমি নষ্ট সহ পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অনিয়ম করে ঠিকাদারি কাজ দেওয়া সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন খাগাইল গ্রামের ভুক্তভোগী একাধিক জমির মালিক ও গ্রামবাসীরা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল খাল হতে মোল্লাকান্দি ১৪৫০ মিটার খাল খনন প্রকল্পের কাজে টেন্ডার নং – ৮০৮৭০৪ খননে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক জমির মালিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খাল খননের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও তাদের কর্ণপাত করনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পরে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীরা গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিলের নিকট লিখিত অভিযোগ ও মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার আহ্বান জানান কিন্তু তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খাল খনন সাময়িক স্থগিত করার নির্দেশনা না দেওয়ায় ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
পরে প্রতিকার না পেয়ে খাগাইল গ্রামের আক্তার মোল্লার ছেলে শাহিনুল ইসলাম, নেয়ামত খান, রহিজ শেখ, কালাম মিনা, কামাল মোল্লা, রেজাউল, লিয়ন মিনা, ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাহালুল গং এরা গত ১৮-৩-২০২৪ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর (টোকেন সি- ০২৯ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীরা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, সচিব মহোদয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক সহ প্রধান প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীদের জমা দেওয়া অভিযোগে অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিলের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
এদিকে খাল খননের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।