পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ঘুঘুদহ বিলের অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা নিরসন ও ব্যাপক কৃষি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে সেচ প্রকল্পের পুনঃখনন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে অত্র এলাকার কৃষক সম্প্রদায়। তবে অভিযোগ উঠেছে সেচ প্রকল্প (ক্যানাল) এর পরিধির চেয়ে তিন গুন জমি খনন ও ফসল বিনষ্ট করার। যেকারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কৃষি জমির মালিকেরা।
সরেজমিন পরিদর্শন ও বিনষ্ট হওয়া ফসল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলাধীন গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের ঘুঘুদহ বিলের সেচ প্রকল্পের পরিধি ২৫-৩০ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও অজ্ঞাত কারনে ৫০-৬০ ফুট খনন ও খননকৃত মাটি দ্বাড়া প্রকল্পের পাড় বাধা মিলে প্রায় ১২০ ফুটেরও বেশি জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে বিনষ্ট হচ্ছে প্রকল্পের দুই পাশের কৃষি জমির ফসল। নিজেদের বিনা অনুমতিতে তাদের ফসল বিনষ্ট ও জমি খনন করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কৃষি জমির মালিক গণ।
এ বিষয়ে গৌরিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমি প্রকল্পের নির্ধারিত জমি খননের কথা বলেছি, অতিরিক্ত জমি খননের কথা জানতাম না। আমি প্রকল্পের দ্বায়িত্বরত ( তন্ময়) কে বলে দিচ্ছি যেন অতিরিক্ত কোন জমি খনন না করা হয়। তবে তার প্রতিশ্রুতির পরেও অতিরিক্ত কৃষি জমি খনন করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ গৌরীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার তড়িঘড়ি করে মুনাফা অর্জনের লোভে প্রকল্পটি শেষ করতে চায় বিএডিসির সাথে যোগসাজশে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টা আমার জানা ছিল না। বিএডিসি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।