ফরিদপুরের আলাফাডাঙ্গা উপজেলায় তিন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আরো ১০০ পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও শুকনা খাবার সহায়তা দিয়েছে মাননীয় সরকারের মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী। গত ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুর একটায় উপজেলা হল রুমে ঢেউটিন ও শুকনা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে নয় ফুটের আট পিচ অর্থাৎ এক বান্ডেল করে ১০০ জন পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও চাল দশ কেজি,ডাল এক কেজি, লবন এক কেজি,চিনি এক কেজি, সয়াবিন এক লিটার,মরিচ গুড়া ১০০ গ্রাম,হলুূদ গুড়া ২০০ গ্রাম,ধনিয়া গুড়া ১০০ গ্রাম করে মোট ১৪ কেজি ৪০০ গ্রাম ১০০ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার প্রদান করা হয় ।আরো ৯০০ ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায়,দুস্থ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সকলকে দেওয়া হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে টিন ও শুকনা খাবার তুলে দেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এমপি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন। সুতরাং এই যে ঝড়বাদল, অনাবৃষ্টি, খড়া এসবের মধ্য দিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।
বসবাস করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবদরদী নেত্রী এবং একজন মানবিক নেত্রী। তিনি মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবেন। যতোদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন, ততোদিন ইনশাআল্লাহ কোন ঝড়-ঝঞ্ঝা আমাদের নুয়াতে পারবে না।
বিতরণ কর্মসূচি শেষে উপজেলায় নিষিদ্ধ চায়না জাল ধংস্বের না করলে পরবর্তী প্রজন্ম দেশী জাতের মাছ চিনবে না এমকি তিতপুটি নামে মাছ ছিল সেটিও পাবে না। অবৈধ চায়না জাল দিয়ে নির্বিচারে মৎস্য শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কে তৎক্ষনাৎ অভিযান চালিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ধংস্ব করার নির্দেশ দেন।এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নিলে পরবর্তী প্রজন্ম দেশি মাছ চিনবে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ঢেউ টিন বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমীন ইয়াছমীন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম আকরাম হোসেন,থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. সেলিম রেজা,পৌর মেয়র আলি আকসাদ ঝন্টু,পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার,সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক খান বিলায়েত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি আশরাফ উদ্দিন তারা,
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার প্রণব পান্ডে প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত ২৮ মার্চ বুধবা রাত একটার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়।তিনটি ইউনিয়নে দিঘলবানা,পণ্ডিত বানা,রুদ্রবানা, কঠুরাকান্দি,টাবনি,টোনাপাড়া, শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, আউশেরহাট,টোনা গ্রাম,পাকুড়িয়া,জয়দেবপুর, শিয়ালদি চরপাড়া বলপুটিয়া,পানিগাতি,বারানকুলা গহ কমপক্ষে ১৬টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা,বিদ্যুতের খুঁটি, কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে