গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের হাতে শশুর বাদশা গাজী (৬৫) খুন হয়েছেন। ঘরে থাকা বটি দিয়ে এক কোপে দেহ থেকে শশুরের মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয় জামাই।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জামাই মুরাদ আলী (৪০) তার শশুরকে বটি দিয়ে এক কোপ দিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয়।
ঘাতক জামাই বাদশা গাজীর স্ত্রী ও নিহতের মেয়ে তানিয়া বেগমের বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মোঃ আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রী তানিয়া বেগম ধলইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
চাকরীর সুবাদে জামাই মুরাদ আলী শশুর বাড়িতেই থাকতো।
ঘাতকের বাড়ি পার্শ্ববতী নড়াইল জেলায়।
গত বৃহস্পতিবার সে তার দুই সন্তানকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি যায়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সে বাড়ি থেকে সন্তানদেরকে সাথে নিয়ে শশুর বাড়িতে আসে।
কেউকে কিছু না বলে ঘরে থাকা বটি দিয়ে ঘুমন্ত শশুরকে কুপিয়ে খুন করে। এঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক জামাইকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ওসি আরো জানান,অভিযুক্ত জামাই সৌদি আরব চাকরী শেষেবেশ কয়েকবছর বছর আগে বাড়িতে আসে।
কিছুদিন হলো জামাই তার শশুর বাড়ির লোকজনকে দোষারোপ করে আসছিল যে, তাকে যাদু টোনা করা হয়েছে। যেকারনে সে অতিসম্প্রতি অস্বাভাবিক আচরন করে আসছিল বলে তার স্ত্রী ধলইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তানিয়া বেগম জানিয়েছেন।
ঘটনার খবর শুনে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত জামাতা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।