ফরিদপুরের সালথায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার বিকালে গট্টি ইউনিয়নের যুগিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের মুদি দোকানের সামনে ক্যারাম খেলা নিয়ে লক্ষনদিয়া গ্রামের আজিজুল মাতুব্বরের ছেলে মো: আসাদ (২০) ও পাশ্ববর্তী কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মো. ওমর আলী মোল্যার ছেলে মো. ইমামুল মোল্যা(১৯) মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
ঐ ঘটনার জের ধরে রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঠালবাড়িয়া এলাকায় রড় লক্ষনদিয়া জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার অন্তত ১২০০-১৫০০ গ্রামবাসী লাঠি সোটা, ঢাল, কাতরা, বল্লভ, রামদা,ছ্যানদা,টেটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানায়। তারা উভয় পক্ষই স্থানীয় গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান লাভলু এর সমর্থক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫৫ রাউন্ড লেডবল এবং ১০ রাউন্ড রাবার কার্তুজ ফাঁকা ফায়ার করে উত্তেজিত লোকজনকে ঘটনাস্থল হতে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বড় লক্ষণদিয়ার লোকজন কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলী মোল্যা (৪৮) এর ১টি চার চালা টিনের ঘর ও ১ টি রান্না ঘর, সৈয়দ আলী (৫৫) এর ১টি গোয়াল ঘরে অগ্নি সংযোগ করলে সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং সৈয়দ আলীর গোয়াল ঘর হতে ৪টি গরু নিয়ে যায়। ওমর আলীর ডোয়া পাকা বড় টিনের ঘরের বেড়া, ঘরের আসবাবপত্র কুপিয়ে ভাঙচুর করে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। সালথা থানাধীন ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, হামলার ঘটনা ঘটছে সত্যি। কিন্তু এর সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত না। তিনি দাবি করেন দুই পক্ষই তার সমর্থক।
এবিষয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে যাতে আর কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্কাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ