১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কের কানাইপুর এলাকার তেঁতুলতলায় বাস-পিকআপ সরাসরি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সত্রকান্দা গ্রামের ৫ জন। নিহতের ভেতরে একই পরিবারের ৪ জন সদস্য ও প্রতিবেশী এক নারী রয়েছে।
একই পরিবারের নিহতরা হলেন; রাকিব হোসেন মিলন (৪২), তাঁর স্ত্রী শামীমা ইসলাম (২৫), বড় ছেলে আলভী রোহান (৭), ও ছোট ছেলে আবু সীনান (৪), তাঁর মা মনোয়ারা বেগম হুরী গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম (৭০) সহ সবাই ঘটনা স্থলে মারা যান।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাকিব হোসেন মিলন অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিপ্ট অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তিনি ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ত্রাণের ডেউটিন আনতে পিকআপ ভাড়া করে যাওয়ার সময় কানাইপুর এলাকার তেঁতুলতলা নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ঘটনা স্থলে মারা যান ১১ জন। হাসপাতালে গিয়ে আরো ২ জন মারা গিয়েছে।
ঘটনার খরব পেয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান নিহতের বাড়ি গিয়ে স্বজনদের শান্তনা দিয়ে শোক প্রকাশ করেন।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একই পরিবারের চার সদস্যসহ ১৩ জন এ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। এটা আসলেই হৃদয় বিদারক ঘটনা। শোকসন্তপ্ত পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।