গোপালগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন, মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে, গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে,এই নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। এতে ইমামতি করেন মুফতি হাফিজুর রহমান, ইমাম কোট মসজিদ মাদ্রাসা।
নামাজ শেষে, মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেন ইমাম। এরপরই, বৃষ্টির আশায় হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজ শেষে, মুসল্লিরা বলেন- বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি ভালো না। মানুষের সুস্থতার জন্যেই বৃষ্টির আশায় তারা আদায় করেছেন এই নামাজ। আরও বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। পৃথিবী রক্ষায় এখনই সচেতন হতে হবে।
এদিকে, এখনো দেশের বড় একটি অংশ জুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও তা জনজীবনে স্বস্তি আনতে পারেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়