হিজলা উপজেলার অভয়াশ্রম আওতাধীন মেঘনা নদী সহ আশপাশের নদীতে দীর্ঘ ২ মাস যাবত চলছে যেকোনো ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির দুষ্কৃতিকারী নদীতে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে লুটপাট। এমনই এক ঘটনা গত ২৯ই এপ্রিল ঘটিয়েছে হিজলা উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঝি চর মেমানিয়া গ্রামের সেলিম আকনের ছেলে রফিক আকন সহ কয়েকজন দুষ্কৃতকারী বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কয়েকজন।
জাল লুট হওয়া ভুক্তভোগী স্থানীয় ধুলখোলা গ্রামের মৃত জাফর জমদার এর ছেলে নুর ইসলাম জমদার বলেন ২৯ তারিখ রাত আনুমানিক ১২টার দিকে পুরাতন হিজলা খেয়া ঘাটের উল্টো পাশে নদীতে অবস্থান করাকালীন সময়ে মৎস্য দফতরের মাঝি রফিক, কালু আকনের ছেলে বশির আকন, ফজলু বয়াতির ছেলে আরিফ বয়াতি সহ ১০/১২ জন আমাদের উপর আক্রমণ করে প্রায় ৬০ হাজার টাকার জাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ধুলখোলা গ্রামের এলাহী বক্স বেপারীর ছেলে বাবুল বেপারী বলেন একই রাতে ধুলখোলা সংলগ্ন মেঘনা নদীর হারি থেকে কয়েকজন লোক এসে আমার ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার জাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও ওই একই রাতে চরকুশুরিয়া গ্রামের বাকের বিশ্বাস, সুমন বয়াতি, রাসেল গাজী, হানিফ সরকার, সহ কয়েকজনের লক্ষাধীক টাকার জাল রফিক আকন সহ দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
এবিষয়ে মৎস্য অফিসের মাঝি রফিক আকনের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২৯ তারিখ সোমবার গভীর রাতে থানার স্যারেরা আমার নৌকা নিয়ে রাতে নদীতে গেছে তাদের ব্যক্তিগত কাজে। কোন কোন স্যার নৌকা নিয়ে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিস্তারিত পরে বলবো।
এবিষয়ে হিজলা নৌ পুলিশ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম একটি ঘটনা আমিও শুনেছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।
এ ব্যাপারে হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২৯ তারিখ রাত ৮ টা পর্যন্ত আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি তারপর মাঝি রফিক সহ অন্যান্যদের বিদায় দিয়েছি, তারপরের ঘটনা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবাইর এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযান করেছে এতে বাড়াবাড়ি করার কি আছে, জালের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন পুরিয়ে ফেলেছি।