গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিদেশে রফতানীযোগ্য নতুন জাতের বাসমতি ধানের (ব্রিধান-১০৪) ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১ মে) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের হরিদাসপুর গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় এ ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
হরিদাসপুর গ্রামের কৃষক মনির গাজীর জমিতে উৎপাদিত নতুন জাতের বাসমতি ধান কেটে (ব্রিধান-১০৪) মাড়াই ও পরিমাপ করে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস উদযাপন করা হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার।
আলোচনা সভায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস, মনির গাজী, আজিজুর রহমান সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন । প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিধান-১০৪ একটি নতুন জাতের ধান। এটি ভারত-পাকিস্তানের বাসমতি চালের মতো লম্বা দানা ও সুগন্ধীযুক্ত। প্রতি হেক্টরে এ জাতের ধান ৬.৯ টন ফলন দিয়েছে।
বিরিয়ানী, পোলাও এবং সাদাভাতে এ চাল খুবই সমাদৃত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ধানের চাষাবাদ সম্প্রসারণ করতে পারলে ভারত-পাকিস্তান থেকে বাসমতি চালের আমদানী নির্ভরতা কমানো সম্ভব। এতে বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় হবে। এ চাল বিদেশে রফতানী করে আমরা বৈদেশিক মূদ্রা আয় করতে পারব।