চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি আয়োজন করেন তারা। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্দেশ্য তারা কয়েকটি দাবি পেশ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না’, ‘শান্ত তওফিক হত্যার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে’, ‘আর কত ভাসতে হবে, রক্তগঙ্গায়’ ইত্যাদি লিখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ ও দাবি জানায়।
এ সময় চুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমরা নিরাপদ সড়কের জন্য মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আমাদের চাওয়া শুধু এতটুকুই, কোনো মায়ের কোল যেন আর খালি না হয়, কোনো ভাই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
উপাচার্য স্যারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রশাসনের কাছে আমরা এই বার্তা দিতে চাই, তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কাজ শুরু করেন। আমরা দেখেছি, কাপ্তাই সড়কের বেশকিছু জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
তারপর ও আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাব, এটা যেন লোক দেখানো বা দায়সারা কাজ না হয়; বরং এটি যেন সমস্যা সমাধানের একটি মাধ্যম হয়। চুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে ডিভাইডার স্থাপনসহ সর্বনিম্ন সংখ্যক গাছ নিধন করে চার লাইনের রাস্তা প্রশস্তকরণ।
কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত লোকাল বাস (শাহ আমানত, এবি ট্রাভেলস ও অন্যান্য) চলাচল বন্ধ রাখা। সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের অবস্থান নিশ্চিত করা এবং নিরবিচ্ছিন্ন ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতের একজন পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং অপরজন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন।
এ ছাড়া সেদিন গুরুতর আহত হন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এই দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালকের শাস্তির দাবি জানিয়ে দশ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা চুয়েট প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ স্থগিত করলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।