নিজস্ব প্রতিবেদক:
গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি আওতায়( ইজিপিপি) প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচির ( ইজিপিপি) শ্রমিকদের কাছে জন প্রতি ২০০০ টাকা করে নিচ্ছেন ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য একরামুল হক ও মহিলা ইউপি সদস্য নাছিমা বেগম। শ্রমিকরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি সদস্যরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে তাদের বের করে দেওয়ার হুমকি দেন,এমন অভিযোগ ইজিপিপি প্রকল্পের শ্রমিকদের।
সরজমিনে গিয়ে , বড়বিল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ইজিপিপি প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা শ্রমিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রথম বিল পাওয়ার সময়,টাকা দিতে পারি নাই বলে আমাকে কাজে ধরায়নি।তখন আমি সারাদিন কান্নাকাটি শুরু করলে আমার স্বামী এসে বলে তোমারা এখান থেকে যান না আমি আসতেছি। ঐদিন টাকা দিতে না পেরে পরদিন তার স্বামী গরু বিক্রি করে তিন হাজার টাকা দেন। এবার আবার বিল দিবে সেজন্য ২০০০ টাকা চাচ্ছেন ইউপি সদস্য একরামুল।
আর একজন মহিলা শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন,আর টাকা না দিলে আমাদের নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেয় মহিলা মেম্বার নাছিমা বেগম। আরো বলেন, টাকা না দিলে কাজ করলেও অনুপস্থিত দেখানো হবে । যারা টাকা দিবে তারা বাটিতে মাঠি কাটবে ।আর যারা টাকা দিবে না, তাদের পেটে পা তুলে দিয়ে কাজ করাও ।
শ্রমিকরা বলেন , ইউপি সদস্য একরামুল ও মহিলা ইউপি সদস্য নাছিমা বেগম আমরা ২০০০ হাজার টাকা চাচ্ছেন টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেন ।
ইউপি সদস্য একরামুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব ভুয়া , আমি কোন টাকা নেই নাই, কাজের জন্য চাপ দিয়েছি বলেই আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ করছে ।
ইউপি মহিলা সদস্য নাছিমা বেগম বলেন, এগুলো মাঝে মধ্যে শয়তানি ( মশকরা) করে বলি। যারা এসব বলেছে মিথ্যা বলেছে।
বড়বিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ চৌধুরী দ্বীপ বলেন, যারা অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছে এভাবে টাকা নেয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে আমি মনে করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচিতে কেউ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি দেখছি।