শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান একমাত্র মানবতার রাজনীতি – আল্লামা ইমাম হায়াত ট্রাফিক বিভাগ চট্টগ্রাম জরিমানার ৬৭৫০ টাকা গ্রহণ করলেও রেকার ভাড়া ৭৫০ টাকা উল্লেখ করেন নওগাঁয় নবাগত পুলিশ সুপার সাফিউলের দায়িত্বভার গ্রহণ। ছিড়ে ফেলা হলো দেয়াল থেকে জয় বাংলা পটিয়াতে বাসের পেছনে বাসের ধাক্কা,নিহত ২ বোয়ালখালীতে চোরাই মদসহ গ্রেপ্তার এক ৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান গঙ্গাচড়ায় বেতগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে ফরম বিতরণ গেপালগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলা সমাপ্ত নওগাঁ এডুকেশন  ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত 

চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য মজুদ আছে সাড়ে ৮ লাখ পশু

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
42.8kভিজিটর

চট্টগ্রামে এ বছর কোরবানির জন্য ৮ লাখ ৫২ হাজার ২৫৯টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানিতে চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলায় গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি। পশুর ঘাটটি রয়েছে ৩৩ হাজার ৪০৬টি। তবে প্রতি বছর কোরবানিতে চট্টগ্রামে পশুর ঘাটতি থাকে।

ফলে অন্য জেলা থেকে পশু এনে চাহিদা পূরণ করা হয়। এ বছরও পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি এবং দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে এনে পশুঘাটতি পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে এবার সম্ভাব্য কোরবানি পশুর চাহিদা ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি।

মধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি গরু, ৭১ হাজার ৩৬৫টি মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩টি ছাগল, ভেড়া ৫৮ হাজার ৬৯২টি ও অন্যান্য পশু ৮৮টি। কিন্তু কোরবানির জন্য পশুর মজুদ হয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি পশু। ফলে ৩৩ হাজার ৪০৬টি পশুর ঘাটতি রয়েছে।

চট্টগ্রামের উপজেলা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে দ্বীপ উপজেলা স›দ্বীপে। উপজেলাটিতে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮২ হাজার ৮০৭টি। বিপরীতে কোরবানির পশুর চাহিদা ৭৯ হাজার ৬৩৮টি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো নজরুল ইসলাম জানান , চট্টগ্রাম জেলায় প্রচুর মানুষ পশু কোরবানি দেন। ফলে এই জেলায় প্রতি বছরই কোরবানি পশুর ঘাটতি থাকে। তবে পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।

সেখান থেকে চট্টগ্রামে পশু এনে চাহিদা পূরণ করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম কোরবানির পশুর বড় বাজার। প্রতি বছর দেশের উত্তরাঞ্চলের পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে চট্টগ্রামে কোরবানির পশু আসে। সবমিলিয়ে আমরা মনে করছি পশু ঘাটতির খুব একটা সমস্যা হবে না। জানা যায়, চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ২৫৮টির মত পশুর খামার রয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খামার।

জেলার মিরসরাই, কর্ণফুলী, পটিয়া, সীতাকুন্ড, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার খামারগুলোতে কোরবানির জন্য বেশি পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে। ফলে কোরবানিতে বিদেশি পশুর প্রতি নির্ভরশীলতা কমেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিদেশ থেকে গুরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশে উৎপাতিত পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।

এ বছরও বিদেশ থেকে পশু আমদানির সুযোগ নেই জানিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো নজরুল ইসলাম বলেন, বিদেশ থেকে গরু আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। অনেকে বলে থাকেন বিদেশ থেকে এখনও পশু আমদানি হচ্ছে। তবে এসব দাবির কোনো সত্যতা আমরা পাইনি। প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় পশুর ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন খামারিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x