চট্টগ্রাম নগরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের একটি প্রিপেইড সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। যার সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় মোটর সাইকেল চালকের অবস্থান বুঝে মাস্টার কী দিয়ে দুই মিনিটে মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়েন। পরে এসব চোরাই মোটর সাইকেল কিছু পার্টস পরিবর্তন করে সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিশেষ সূত্রের খবরে নগরীর মাছুয়াঝর্ণা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূলহোতা মো. আবিদ হোসেন শ্রাবনকে (২০) আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
এসময় তার কাছ থেকে হোন্ডা লিভো মডেলের একটি মোটরবাইক জব্দ করা হয়। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে একে একে ধরা হয় সিন্ডিকেটের আরও পাঁচ সদস্য মো. আজিজুর রহমান(২৪), মো. রাফি (৩১), মো. আব্দুল্লাহ আল আবেদ প্রকাশ তুহিন (২৪), মো. শাহাদাত হোসেন প্রকাশ খোকা (২৭), মো. জমির হোসেন (২০)। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আরও তিন মোটর সাইকেল। পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিডিএমএস বলছে, আটক আবিদ হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, হালিশহর, চবকবাজার ও আকবরশাহ থানায় মোট ৮টি গাড়ি চুরির মামলা আছে।
মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও কোতোয়ালী থানায় মোট ৫টি মামলা আছে। মো. রাফির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় ১টি মামলা আছে। কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন বলেন, আসামী আজিজ বিগত ৮ মাস পূর্বে একটি অপহরন মামলার ঘটনায় জেল হাজতে যাওয়ার পর সেখানে আসামী মো. আবিদ হোসেন শ্রাবণের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে।
আজিজ আবিদ হোসেন শ্রাবণের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার বর্ণনা শুনে শ্রাবণকে জেল হাজত হতে জামিন করানোসহ যাবতীয় সকল ব্যবস্থার দায়িত্ব সে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং বিনিময়ে শ্রাবণ তাকে জামিনে বের হওয়ার পর যত মোটরসাইকেল চুরি করবে সবগুলো মোটরসাইকেল আজিজের নিকট সাপ্লাই দিবে।
এরপর বের হয়ে আর চার ৫ জন নিয়ে গড়ে তুলে চোরাই মোটর সাইকেলের ‘প্রিপেইড সিন্ডিকেট’। শ্রাবণ প্রতিটি গাড়ি চুরির জন্য আজিজের নিকট থেকে পেত অগ্রীম টাকা।