“আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদ উল-আযহা!
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায় ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করবেন ধর্মীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম এ উৎসব।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে থেকে শুরু হয় কোরবানির প্রচলন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। অনন্য এ ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আযহায় কোরবানির প্রচলন।
মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য এবং তাঁরই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
ঈদুল আযহা শুধু পশু কোরবানির আনুষ্ঠানিকতাই নয়। এ ঈদ সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মসমর্পণ ও আত্মোপলব্ধির শিক্ষা দেয়।
ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে সূরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সালাত আদায় এবং কোরবানি করুন’। সূরা হজ্বে বলা হয়েছে ‘কোরবানি করা পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নির্দেশনা’। কোরবানির মূল উদ্দেশ্যই তাকওয়া বা খোদাভীতি। এ প্রসঙ্গে কুরআনে বলা হয়েছে- ‘এগুলোর গোশত আমার কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায়।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আযহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দীয় নয়।’ অন্যত্র বলেছেন ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পারও কোরবানি দিলো না সে যেন আমার ঈদগাহে না যায়।
কোরবানির পশুর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ আত্মীয় স্বজনকে, আরেক ভাগ গরিবদের মধ্যে বণ্টন এবং বাকি একভাগ নিজেরা খাওয়া সুন্নত। ঈদুল আযহার দুই রাকাত নামাজ জামাতে আদায় করা ওয়াজিব।
কোরবানি ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজের যেকোনো দিন করা যায়। তবে প্রথম দিন করাই উত্তম।