পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের আলোচিত সেই সাভানা ইকো রিসোর্ট এ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর পর ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪শ ৬১ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেছেন তদারকী কমিটির সদস্যগণ।
বৃহস্পতিবার ২০ জুন- ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জমার মধ্য দিয়ে এই টাকা ব্যাংকে জমা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক ও তদারকী কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান জানান, গত শুক্রবার থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ছয় দিনে পার্কের মধ্যে দর্শনার্থী প্রবেশ এবং রাইড ফি বাবদ আয় হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫ টাকা, কাশফুল বিক্রি বাবদ আয় ২০ হাজার টাকা ও আম বিক্রি বাবদ ৪৮ হাজার ২শ ১৬ টাকা। যার মোট আয় হয়েছে ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৬১টাকা। আয় হওয়া এসব টাকা তদারকী কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় যে হিসাব খোলা হয়েছে সেই হিসাবে জমা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সাভানা পার্ক তদারকী কমিটি ও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারনের জন্য পার্কটি খুলে দেয়া হয়। ওই দিন সকাল থেকে আগের মত ১শ’ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা। গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল।
গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগ করে পার্কটি নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) পার্কটি রক্ষণাবেক্ষন ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহবায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি তদারকী কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ