আগামী ছয় মাসের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ কাজ দূশ্যমান করার দাবি

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
24.2kভিজিটর

আগামী ছয় মাসের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ। আজ রোববার (৩০ জুন) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যেগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

পদ্মা সেতুর মতো গুরুত্ব দিয়ে কালুরঘাট সেতু নির্মাণে সর্ব্বোচ্চ নজর রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পরিষদের নেতারা। এতে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মোমিন বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের অন্যতম প্রাণের দাবি কালুরঘাট সেতু নির্মাণে একটি অগ্রগতি হয়েছে।

গত ২৭ জুন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরসহ সর্বশেষ যে অগ্রগতি সেটা গত এক দশকের ধারাবাহিক কর্মপ্রচেষ্টার ফলাফল, যার সঙ্গে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদসহ সর্বস্তরের মানুষের সংযুক্তি আছে। একনেকের অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী ছয় মাস অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যেই যেন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

আবদুল মোমিন বলেন, সেতুর দাবি সামনে আনার পর সরকারেরও বিষয়টির ওপর দৃষ্টি আসে। গত ১০ বছরে কয়েক দফা অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা, নকশা প্রণয়ন এবং সরকারি পর্যায়ে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা গণমাধ্যমের কল্যাণে ও আমাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ মারফতে জেনে এসেছি। কিন্তু এরপরও বারবার অদৃশ্য কারণে সেতুর নির্মাণের বিষয়ে প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম স্থবির ছিল। কোথাও না কোথাও অদৃশ্য সুতোর জালে আটকা পড়ছিল বারবার আমাদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি।

গত একবছর ধরে জোড়াতালির সংস্কার কাজের জন্য সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বিকল্প উপায়ে ফেরি দিয়ে মানুষ পারাপার করতে গিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দশকের পর দশক কালুরঘাট সেতুতে আটকা পড়ে কত মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে মানুষ, কত প্রসূতির, কত সংকটাপন্ন রোগীর প্রাণ গেছে- সে কথা বলাবাহুল্য, যা থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি বোয়ালখালী-পটিয়ার মানুষের। বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম বলেন, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া বসবাসকারী মানুষদের প্রায় ৬৪ মাইল ঘুরে চট্টগ্রামে আসতে হয়।

কালুরঘাট সেতু হলে অন্তত ৪০ মাইল দূরত্ব কমবে। তাছাড়া কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন হলে বান্দরবানের সঙ্গেও ২০ কিলোমিটার রাস্তার দূরত্ব কমবে। এছাড়া কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চলও গড়ে উঠবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। সংগঠনের সদস্য সচিব রমেন দাশগুপ্ত বলেন, ২০১৪ সালের শুরুত বোয়ালখালী কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্য দিয়েই সেতুর দাবি প্রথম জনসম্মুখে আসে। চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত অগ্রগতি হয়েছে।

দীর্ঘসময় পর হলেও লাখও মানুষের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। পদ্মাসেতুর প্রত্যেকটি পিলারকে যেভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবে কালুরঘাট সেতুকে সর্ব্বোচ্চ নজরে রাখা উচিত। সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য উত্তম সেন গুপ্ত বলেন, কালুরঘাট সেতু হলে শুধুমাত্র বোয়ালখালী বা পটিয়াবাসী উপকার পাবে সেটা নয়, সেতু হলে পুরো চট্টগ্রামবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামসীর মধ্যে একটি প্রাণসঞ্চার হয়েছে। সেটা যাতে আবার হতাশায় পরিণত না হয় আমাদের সবাইকে সেদিক দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়কারী আলমগীর মোরশেদ বাবু, অমল কান্তি নাথ, উজ্জ্বল সরকার, সেহাব উদ্দিন সাইফু, নেছার আহমেদ খান, তপন দাশগুপ্ত, সাদেকুর রহমান সবুজ, সাংবাদিক নুরুল আবসার, রণজিৎ চৌধুরী বাচ্চু ও প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x