বিদ্যুত না থাকায় জেলা শহরের সরকারি গনগ্রন্থাগারে গতকাল সোমবার বেলা বারোটার দিকে গিয়ে দেখা গেছে অসংখ্য পাঠক পানির বোতলের উপর মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে রেখে পড়াশোনা করছেন।
গ্রন্থাগারের ভেতরে কোনো চেয়ার খালি নেই। বাইরেও চেয়ার পেতে অনেকে পড়াশোনা করছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় তারা ভেতরে মোবাইল জ্বালিয়ে পড়ছে। ভেতরে যারা জায়গা পান নাই তারা বাইরে পড়ছেন।
এরা কেউ সরকারি গ্রন্থাগারে রাখা পত্রিকা বা উপন্যাস অথবা অন্য কোনো বই পড়তে আসেননি। এরা সবাই শিক্ষার্থী। কেউ সরকারি বংগবন্ধু কলেজে,কেউবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। সরকারি গন গ্রন্থাগারে তারা তাদের একাডেমিক বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।
কেউ কেউ গ্রুপ ষ্টাডি করছেন। দেখা গেছে সরকারী গন গ্রন্থাগারের ষ্টাফরা তাদেরকে বেশ খাতির করছেন। সরকারি গন গ্রন্থাগারের একটি কক্ষে একজন মহিলা স্টাফের বাচ্চাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে।
সরকারি গন গ্রন্থাগারে সাধারন পাঠকদের দেখা যায় নাই। অনেক পাঠক স্থান না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন দেখে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন এটি এখন আর সাধারন গ্রন্থাগার নেই। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক বিষয়ে পড়াশোনা করছে।
পরিবেশ নেই পত্রিকা বা উপন্যাস বা পছন্দের বই পড়ার। লাইব্রেরিয়ান মো: তাজমুল ইসলামকে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যুত না থাকলে বিকল্প কোনো উপায় নেই। আগে সোলার ছিলো।
সেটি মেইনটেইন করতে যা খরচ হয় তা উপরওয়ালারা দেয়না। শিক্ষার্থীরা সরকারি গন গ্রন্থাগারে বসে লেখাপড়া করতে পারবে না এমন কোনো আইন নেই। কে কি পড়লো সেটি বিবেচনা করার বিষয় নয়।