২০২৩-২৪ অর্থ বছর শেষ হয়ে গেলেও জেলার টুংগীপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে টাকা কর্মসূচির নয়টি প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কয়েকটি প্রকল্পের কমিটি গঠনও সম্পন্ন করতে পারেননি বর্নি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলিয়া আমিনুল। চেয়ারম্যানের অদক্ষতা এবং কমিটি গঠনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার প্রবল বাসনা এ ব্যার্থতার অন্যতম কারণ বলে অনেকেই বলেন।
বর্নি ইউনিয়নের সচিব তপন কুমার বালা বলেন চেয়ারম্যান নিজে পরিষদে আসেন কম।তার স্বামী মোহাম্মদ আমিনুল পরিষদে এসে সব কাজ করেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার ও মহিলা মেম্বাররা চেয়ারম্যানের উপর নাখোশ।
ইউনিয়নের সাধারন মানুষ কাংখিত সেবা না পেয়ে ভুক্তভোগী। কাবিটার সবচেয়ে বড় প্রকল্পটির সভাপতি চেয়ারম্যান নিজে হয়েছেন। প্রকল্পটি হলো বর্নি ৪নং ওয়ার্ডের আহাদ শেখের বাড়ীর নিকট বেড়ী বাধ হতে চান্দার খাল পাড় দিয়ে দত্তের খালের বেড়ী বাধ পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মান ও প্যালাসাইডিংকরন কাজ।
এতে ১ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাবিটার ওই নয়টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কেটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সচিব আরও বলেন গত অর্থ বছরের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের তিনটি প্রকল্প কাজ এখনও শেষ হয়নি।
এসব ব্যাপার নিয়ে বর্নি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মিলিয়া আমিনুল বলেন,আমি কোনো অনৈতিক কাজ করিনি।বর্নি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাট কাজ প্রকল্পে কমিটি গঠন নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এটা সত্যি তবে কোনো কমিটি গঠনে আমি কোনোভাবে আর্থিক লাভ করিনি।
বর্নি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বালু ভরাট প্রকল্পের কমিটি গঠন চুড়ান্ত হওয়ার আগেই একজন সভাপতি প্রার্থী কাজ শুরু করে ঝামেলা সৃষ্টি করেন।
এ বিষয়ে আলাপ করা হলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, অর্থ বছর শেষ হলেও কাজ শেষ না করলে কোনো বিল পরিশোধ করা হবেনা।