জেলার কাশিয়ানীতে বকুল চৌধুরী (৫৭) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে । নিহতের মেয়ে লাবনী চৌধুরীসহ স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। নিহত মো: বকুল চৌধুরী (৫৭) কাশিয়ানী উপজেলার সাতাশিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস চৌধুরীর ছেলে।
তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি আঞ্জু বেগম নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে পুনরায় বিবাহ করেন। বিবাহ পরবর্তীকালে কাশিয়ানীর শিবগাতী এলাকায় জনৈক ফজর আলী খানের একতলা ভবনে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে। আঞ্জু বেগমের আগের সংসারে ইমরান শেখ (২২) নামে এক জনসহ অন্য সন্তান রয়েছে।
গত ২৮ জুন সকাল পৌঁনে এগারোটার দিকে কাশিয়ানী থানার শিবগাতী গ্রামের ফজর আলী খানের একতলা বিল্ডিং থেকে নিহত বকুল চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কাশিয়ানী থানায় মৃতের ভাই স্বপন চৌধুরী বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেন যার নাম্নার ৩০ ( তাং ২৮/০৬/২০২৪)।
এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে লাবনী চৌধুরী ও তার স্বামী গত ২৭ জুন রাতে পিতা বকুল চৌধুরীকে খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পান যে সৎ মা আঞ্জু বেগম ও সৎ ভাই ইমরান শেখ পিতার সাথে ঝগড়া করছেন। তাছাড়া যে জায়গায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় বকুল চৌধুরীকে পাওয়া গেছে তা রহস্যজনক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিয়ানী থানার এসআই কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে প্রথমে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। পরে পোস্টমর্টেম করা হয় গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড হাসপাতালের মর্গে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।