ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আদালতের ১৪৪ ও ১৮৮ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক অন্য শরিকির বসত বাড়ি দখল করে নির্মাণকাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কয়েক দফা অবগত করে বন্ধ করার পরও তাঁরা কয়েকদিন নিশ্চুপ থাকার পরে ফের নির্মাণ কাজ করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ দখল জমির মালিক সৈয়দ মনিরের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নে পানাইল গ্রামে সৈয়দ মনিরের বসত বাড়ির মধ্যে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন সৈয়দ হামিদুল ইসলাম। বিষয়টি মনির আদালতে অবহিত করলে আদালত গত ২৪ এপ্রিল ঐ জায়গায় ১০ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন।আদালত অবমাননায় ফের ৩ জুন পূনরায় ১৮৮ ধারায় নালিশি আবেদন করলে ঔই ১৪৪ ধারাকে ২২ জুলাই পর্যন্ত পূর্ণবহল রাখে।
এর পরও সৈয়দ হামিদুল ইসলাম সেখানে বাড়ি নির্মাণ চেষ্টা অব্যাহত রাখেন এবং আদালত ফের গত ২২ জুলাই সেখানে নির্মাণ কাজ না করার নিদের্শনা প্রদান করেন; কিন্তু তিনি এই নির্দেশনাও অমান্য করে চলছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভূগি।
আদালতের নালিশি সূত্রে জানা যায়, পানাইল মৌজা এস,এ খতিয়ান নং ৬২৭ এস,এ দাগ নং ৪৫৮ জমির পরিমাণ ৭৭ শতাংশ মধ্যে২৫.৬৬ শতাংশ, যাহার বি,এস খতিয়ান নং ১১৫৬ বি,এস দাগ নং ২৯৪ জমির পরিমাণ ২৫.৬৬ শতাংশ নালিশি জমি।যাহা বি,এস ১১৫৬ নং খতিয়ানে আমার( মনির) নামে ৮ শতাংশ জমি রেকর্ডভুক্ত হয়।বাকি ১৭. ৬৬ শতাংশ ভুলক্রমে বি,এস ১১৬৫ নং খতিয়ানে বি,এস ২৯৪ নং দাগে দ্বিতীয় পক্ষ ( হামিদুল) নামের রেকর্ড ভুক্ত হয়।
একই মৌজায় এস,এ খতিয়ান নং ৬১০ এস,এ দাগ নং ৪৫৭ জমির পরিমাণ ৪১শতাংশ যাহার মধ্যে ৮ শতাংশ, বি,এস খতিয়ান নং ১১৬৫ বি,এস দাগ নং ২৯৩ জমির পরিমাণ ৮ শতাংশ জমি যাহা দ্বিতীয় পক্ষের(হামিদুল) নামের ভুলক্রমে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।সর্বমোট ২৫.৬৬+৮=৩৩শতাংশ নালিশি জমি। যাহার চতুর্পাশের সীমানা চিহ্নিত ও সামনে গেটসহ বাউন্ডারি ওয়াল আছে।
এ বিষয়ে হামিদুল ইসলাম বলেন, এই সম্পত্তি ২ দাগে এস,এ ৪৫৮ এর মধ্যে ৭৭ ও ৪৫৭ মধ্য ৪১ মোট জমি ১১৮ শতাংশ, শরিক পাঁচ দাদার ভাগে ২৩.৬০ করে তার মধ্যে হতে মনিরের চাচা রুনু'র কাছ থেকে খরিদ করা ১৫ শতাংশ শরিকি সত্ত্ব অনুযায়ী যার যার সরজমিনে সকলে অবস্হান করছে। তার অভিযোগ সম্পূন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন,বানোয়াটি।
এদিকে মনির বলেন, আমার দাদারা পাঁচ ভাই এক দাদার শরিক হামিদুল,দাদারা সত্ত্ব ভাগ করে ভোগ দখল করে আসছে। এরপর বাপ চাচারা ও এখন তাদের ছেলেমেয়েরা সেই অনুযায়ী ভোগ দখলে করছে। আমি খুলনায় থাকায় আমাদের ২৫.৬৬ শতাংশ জমি রেকর্ড করে নেয়।নিজের ইচ্ছায় জোরপূর্বক ভোগ দখলের আকার পরিবর্তন করে আমার দখল জমিতে বাড়ির নির্মাণ কারার চেষ্টা করে।আমি বাধা দিলে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
সৈয়দ বিপ্লব আজাদ ওয়ারিশ সূত্রে মৃত সৈয়দ ওয়াজেদ আলী পোতা মুঠোফোনে বলেন,সি,এস ও দলিল মনিরের দাদা মৃত আব্দুর শুকুরের নামে।এস,এ মনিরের বাবার নামে।হাল বিএস মনির গং এর নামে। এই জমি কোন বিক্রি হয় নাই।পৈত্তিক সূত্রে বসবাস করছে।
আলফাডাঙ্গা থানা ওসি মো.সেলিম রেজা বলেন,জমি জবরদখলকারীকে আদালতের নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছি।আদালতের নির্দেশ গতানুগতি কাজ করছি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ