বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বেলতলা খেয়াঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাসের সড়ক ও জনপদ এর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দোকান উঠিয়ে ভাড়া দিচ্ছে স্থানীয় আরিফ হাওলাদার, রাসেল মোল্লা, খবির খান, মোকলেছ সিকদার, নামের কতিপয় লোক। উক্ত দোকানের পাশেই জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যাক্তি ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভবন নির্মাণ করতে গেলে উক্ত আরিফ বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে এবং ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর এর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাঁদা দাবির বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। উক্ত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন চাকুরী করে সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে উল্লেখিত জায়গায় জমি কিনে ভবন নির্মাণ এর জন্য।
কিন্তু ভবন নির্মাণ করতে গেলেই স্থানীয় আরিফ হাওলাদার কাজে বাধা দেয় এবং ২০ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে নয় তো ছয় শতাংশ জমি লিখে দিতে হবে । এবং বলে যে চাহিদা অনুযায়ী টাকা বা জমি পেলে জমির সামনের সব দোকান সরিয়ে নেবে। কিন্তু ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দাবিকৃত চাদার টাকা না জমি দিতে অস্বীকার করলে তার জমির সামনে থাকা অবৈধ দোকান গুলি না সরিয়ে উল্টো ষড়যন্ত্র শুরু করে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বখাটে আরিফ হাওলাদার এলাকায় সুদের ব্যাবসা নারী কেলেংকারী ও বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত। এছাড়াও তার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য প্রতিবেদক এর হাতে আছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, আমি একটি ছোট চাকুরী করে ছেলদের লেখাপড়া করিয়েছি তারা এখন ভালো চাকরি করে আমার সারাজীবনের সঞ্চয় ও ছেলেদের বর্তমান উপার্জিত টাকা দিয়ে ওখানে জমি কিনে ভবন নির্মাণ করতে চাচ্ছি, আর আমাদের এলাকায় একটা এক তলা বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় দোকান দাররা আমাকে বলে এবং আমি তাদের কথায় মার্কেট নির্মাণ করার জন্য কাজ শুরু করি।
কিন্তু আরিফ বাহিনী আমার ভবন নির্মাণ এর কাজে বাধা দিচ্ছে, বিল্ডিং এর ক্ষতি সাধন করছে এবং চাদা দাবি করছে।এবং বিভিন্ন রকম আমাকে হয়রানি করে আসছে আমার দুই ছেলে সরকারি চাকুরী করে তাদের অফিসে যেতে বাধা প্রধান করে, আমি প্রশাসনের কাছে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা হীনতায় আছি আমি তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের দোকান সড়ক ও জনপদের জমিতে থাকলে জাহাঙ্গীরের সমস্যা কি আমাদের সরকারিভাবে নোটিশ দেয়া হলে তাহলে আমরা উঠে যাব, কিন্তু জাহাঙ্গীরের কথায় আমরা উঠব কেন।