গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে জামিন কেন প্রদান করা হবে না সেই মর্মে ১০ দিনের রুল দিয়েছেন।
৯ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৪ মে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মতে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলের নেতৃত্ব ও নির্দেশে পরাজিত প্রার্থী লিয়াকত আলীর সমর্থক ওসিকুর ভূঁইয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় ১৯ মে হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম নেন তিনি। পরে ৬ সপ্তাহ পরে বিচারিক আদালতে গত ৩০ জুন আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আজ হাইকোর্টে জামিন শুনানিতে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় জামিন দেননি তাকে। তবে জামিন কেন প্রদান করা হবে না, সেই মর্মে ১০ দিনের রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ৮মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন
পরে ১৪ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গুলি ও সহিংসতার ঘটনায় ওসিকুর ভূঁইয়াসহ (২৭) ছয় জন আহত হন। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ওসিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই গ্রামের জলিল ভূঁইয়ার ছেলে ওসিকুর ভূঁইয়া পেশায় চা-বিক্রেতা ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৬ মে রাতে ওসিকুর ভূঁইয়ার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০/৫০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়।