চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারি সবুজ চক্রবর্ত্তী অভিজিৎ (৩০) এর বিরুদ্ধে স্কুলের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ঐ ল্যাব সহকারির বাড়ি পটিয়া উপজেলায় কেলিশহর বলে জানা যায়। এ বিষয়ে গত কয়েকদিন আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছকে পৃথক ৪টি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের মধ্য থেকে কয়েকটি পরিবার।
এদিকে অভিযোগ দেয়ার পর সবুজ স্কুলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানান তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর পরিবারের সদস্য বলেন, মেয়ে কোচিংয়ে গেলে স্কুলে পাশ করানো, ভালো নম্বর পাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতো সবুজ। পরে মেয়েকে জড়িয়ে ধরতো এবং তার বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হয়রানি করতো।
স্থানীয়রা জানান, সবুজ চক্রবর্ত্তী অভিজিৎ স্কুলের একজন ল্যাব সহকারি। কিন্তু তাকে স্কুলে ক্লাস করতে দেয়া হয়েছে। সে লালার দীঘির পাড়ে ক্যানভাস নামের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করত। ক্লাস করার সুবাধে সে কোচিংয়ে স্কুলের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রীদের পড়াতো।
সেখানের কয়েকজন ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হয়রানি করত।
এ বিষয়ে কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ বলেন, গত ৩ দিন আগে তার বিরুদ্ধে ৪ টি পৃথক যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলের সভাপতি বর্তমানে দেশের বাইরে। তবে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বসে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব তার বিরুদ্ধে। ল্যাব সহকারি ক্লাস করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জন্য নির্দিষ্ট কোন ক্লাস বণ্টন ছিলো না।
অন্যান্য কোন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে সে ক্ষেত্রে ক্লাসে যেতো। তবে এখন পাঠদানে নতুন কারিকুলাম আসায় আর ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ নেই। অভিযুক্ত ল্যাব সহকারি সবুজ চক্রবর্ত্তী অভিজিৎ বলেন, আমার সাথে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যারা অভিযোগ এনেছে তাদের মধ্যে একজন এসএসসি পাশ করে কলেজে যাওয়ার পথে।
অন্যজন আমার থেকে প্রাইভেট পড়েছে ডিসেম্বরে, তাহলে জুলাই মাসে এসে কেন অভিযোগ উঠছে। এতেই বুঝা যায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ