আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহঃ)- এর বিশেষ খাদিম মরহুম মাওঃ আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ছোট ছেলে, কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র, নওজোয়ান আলেম মুফতি হাবিবুল্লাহ সালিম গতকাল (১০/৭/২০২৪) বুধবার মাগরিবের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাবার পথে সাপ দংশিত হোন এবং রাত ২টার সময় গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করে!
ছেলেটিকে সন্ধ্যায় সাপে কামড় দিল এবং সে নিজেই চিৎকার দিয়ে সকলকে জানিয়ে দিল যে আমাকে সাপে কামড় দিয়েছে! নেওয়া হলো ওঝার কাছে। অবস্থা দেখে ওঝা ছেড়ে দিলেন ,বললেন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
রাত ৯টার সময় সালেমকে নিয়ে আসা হলো গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।ভর্তি করা করা হল মেডিকেলে । পরীক্ষা করে কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট দিল তেমন কোন সমস্যা নেই! তখনো ভ্যাকসিন দেওয়া হয় নাই।
রাত ১ টার সময় সালেমের দম বন্ধ হয়ে আসছে,গলা শুকিয়ে যাচ্ছে সালেমের অবস্থা আশঙ্কাজনক । স্বজনদের দৌড়ঝাপে ডাক্তার সাহেবরা আসলেন, বাঁচানোর জন্য দায়সারা চেষ্টাও চালালেন এবং সাথে কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন ও পুশ করলেন । কিন্তু ততক্ষণে সালিম মারা যায়।
ছেলেটি নিজে বলল যে, আমাকে সাপে দংশন করেছে ,ওঝা অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ছেড়ে দিল ,সেই ছেলেরটির রক্ত পরীক্ষা করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সাপের কামড়ের কোন আলামত পেল না ,এবং ভ্যাকসিন দিতে চার ঘন্টা দেরি করল ।
গোপালগঞ্জে চিকিৎসার জন্য বড় বড় ভবন আছে ,উন্নত মানের আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, তারপর ও কেন রোগীর প্রতি এই অমানবিকতা। সাপে কাটা সালেমের আত্নীয় স্বজনের দাবী যে, সালেমের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারদের অবহেলার কারণে মৃত্যুর জন্য দায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।