গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, সারা দেশের বিভিন্ন থানা থেকে যে সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে হবে। তা না হলে লুট হওয়ায় এসব অস্ত্র জামাত-শিবির ও জঙ্গীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার কাজে ব্যবহার করবে। এটা এখন স্পষ্ট যে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল আমেরিকার সহায়তায় দেশে ছাত্রজনতা নামে বিএনপি ও জামায়াতের জঙ্গীদের দিয়ে এই নৈরাজ্য চালিয়েছে।
সারা দেশের উদ্ধুত পরিস্থিতি এবং গোপালগঞ্জে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয় নিয়ে আজ সোমবার- ১২ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ আশংকা প্রকাশ করেন।
গোপালগঞ্জে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, সেনাবাহীনীর কর্মকর্তাদের কাছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া আগামী ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী টুঙ্গিপাড়ায় অন্যান্য বছরের মতোই পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদতত্যাগে বাধ্য করে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়ার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক স্থান ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি।সেই বাড়িটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে ইতিহাসের সকল স্মৃতি নষ্ট করে দিয়েছে।মর্মান্তিক বিষয় হলো স্বাধীতনার মহান স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল যে ভাবে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে তা কোন সভ্যজাতি এটা করতে পারে না। এছাড়া গোপালগঞ্জ-০২ আসনের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম-এর বাসা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বাসা বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান তিনি।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জি.এম সাহাব উদ্দিন আজম, সহসভাপতি অ্যাড. আতিয়ার রহমান মুন্সী, শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাজি উদ্দিন আহম্মেদ রাজু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস,এম নজরুল ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা,সাধারন সম্পাদক আমির হামজা,সহ-সভাপতি শেখ ইমরানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী।তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের যে অভাবানিয় উন্নয়ন করেছে এই কারনে ইউনুসসহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সহ্য করতে না পেরে এক হয়ে সেগুলো ধুলায় গুড়িয়ে দিয়েছে। এই জঘন্ন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এবং শেখ হাসিনাকে বাই ফোর্স দেশের বাইরে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, গোপালগঞ্জসহ দেশের সকল আওয়ামালীগ নেতা কর্মীরা গণ আন্দোলন গড়ে তুলুন।আমাদের শপথ হবে শেখ হাসিনাকে স্বসম্মানে যত দিন না পর্যন্ত দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারবো তত দিন আমরা ঘরে ফিরবো না