নিজস্ব প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পাকুড়িয়া শরীফ আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের নির্যাতন একাধিক অভিভাবকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম ও নাজমুল হোসেনকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম আঞ্জুমান আরা বেগম। গত বুধবার ছাত্র ছাত্রীদের নির্যাতন একাধিক অভিভাবকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।অভিভাবক নূর ইসলাম বলেন, স্কুলের ১ম প্রান্তিক মূল্যায়ন-২০২৪ এর মূল্যায়ন পরীক্ষায় খাতা ও প্রশ্নপত্র আমার ছেলে নজীব মিয়া প্রশ্নপত্র বুঝতে না পারায় খাতা ও প্রশ্নপত্র বুঝে দিতে বললে প্রধান শিক্ষক রাগান্বিত হয়ে আমার সন্তানের মুখ বরাবর খাতা ও স্কেল ছুড়ে মারেন। ফলে আমার সন্তান বাম চোখে আঘাত প্রাপ্ত হলে চোখ লাল হয়ে। আর একজন অভিভাবক বলেন, ছাত্র ছাত্রীদের নির্যাতনে বিষয়ে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা ফকিরের বাচ্চা, মূর্খের বাচ্চা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।পাকুড়িয়া শরিফ আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মারধোর করেন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। অন্যদিকে একজন সহকারী শিক্ষক অলি উল্লাহর সাথে সু- সম্পর্কে থাকায় সে অনেকদিন যাবত স্কুলে এসে শুধু স্বাক্ষর করে যান ।সহকারী শিক্ষক অলি উল্লাহ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা সিলভীয়া খান বলেছেন,পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অপরদিকে,রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,এর আগেও পাকুড়িয়া শরিফ আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম এর বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দূর্নীতির অভিযোগ পেয়েছিলেন। অভিযোগ তদন্ত করে সতত্যা পাওয়া গেলে ৩১-০১-২৩ তারিখে প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগমকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছিল । পরে ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পরও তার স্বভাব চেঞ্জ হয়নি বলে জানান অভিভাবকরা ,শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।