বেকারদের চাকরির প্রভলন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এমন অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের, দায়িত্বে থাকা পঞ্চগড় দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন ও তার মুহুরি আনসার আলীর বিরুদ্ধে। পঞ্চগড় সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে নেওয়া হত, ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। কথা হয়েছে এমন কিছু ভুক্তভোগীর সাথে, তবে এরকম কতজনের সাথে চুক্তি করা হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানায়, চাকরির বিষয়ে মন্ত্রীর সাথে সুপারিশের বিষয়ে কথা হলেও, লেনদেন করা হত তার মুহুরি আনসার আলীর হাত দিয়ে। এমন কিছু তথ্য প্রমাণ ভুক্তভোগীদের সাথে আনসার আলী লেনদেনের কথোপকথনের ফোন রেকর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ফাঁস হয়। ভুক্তভোগীদের চাকরি না হওয়ায় আনসার আলীর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেখিয়ে দেওয়া হতো মন্ত্রীকে, বলাহোত টাকা আছে মন্ত্রীর কাছে যা বলার মন্ত্রী কে গিয়ে বলেন। বহু কষ্টে মন্ত্রীর দেখা করলেও এর সমাধান পাননি ভুক্তভোগীরা।
উল্টো আনসার আলী ভুক্তভোগীদের হুমকি দেয় বেশি বাড়াবাড়ি করলে রাষ্ট্রদূহী কোন মামলায় ফসিয়ে দিতে বলেছে মন্ত্রী , সেই ভয়ে এতদিন চুপ থাকলেও এখন অন্তবতীকালীন সরকারের কাছে, ভুক্তভোগীদের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি পাওনা টাকা ফেরত সহ সঠিক বিচারের। ৮ নং বোদা ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিলে জানা যায়, মোঃ আনসার আলী, পিতা মোঃ হাফিজুল ইসলাম, গ্রাম তিতো পড়া, ডাকঘর বোদা, এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে পাওনা টাকা না দেওয়াই একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায় আনসার আলী একাধিক বিয়েও করেছেন গোপনে, তবে স্থানীয়দের দাবি আনসার আলীর চাকরি দালালি, নারী কেলেঙ্কারি,সহ সব অপকর্মের লিড দিতেন পঞ্চগড় ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ র' পর থেকে পালাতোক রয়েছেন আনসার আলী
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ