বরিশালের বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইলিয়াস গাজীর বিরূদ্ধে ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন হওয়ার পর ইলিয়াস বিভিন্ন লোকের কাছে চাদা দাবী করে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরদা বাজারে অবস্থিত মাহিম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা: মানিকের কাছে বড় অংকের চাদা দাবী করে।
ডা: মানিক প্রথমে ইলিয়াসের ব্যবহৃত ০১৭১০০১৬৯০৬ নাম্বারে দশ হাজার টাকা দেয়( যার মোবাইল স্কিন শর্ট সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে), পরবর্তীতে আরও নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ইলিয়াসকে।
এ ব্যাপারে ডায়গনাষ্টিক মালিক ডা:মানিক ও ইলিয়াসের কথোপকথনের অডিও ও ডা: মানিক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তার ভিডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের কাছে এসেছে। এ ছাড়াও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ডিসি রোড খেয়াঘাট দখল,মালবাহি ট্রলি গাড়ি থেকে চাদা নেওয়া,সংখ্যালঘুর বাড়ি ঘড় ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নেয়ামুল হক নাহিদ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান বাকেরগঞ্জ বিএনপির অভিবাবক সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আবুল হোসেন খান এবং জেলা ও কেন্দ্রে তিনি এ বিষয়ে অবহত করেছেন,উপজেলা ছাত্রদলের তদন্ত চলমান আছে,সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব রাকিব তালুকদার বলেন ইতিমধ্যে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে জেলা ছাত্রদলের নিকট অভিযোগ সমূহ হস্তান্তর করেছে, জেলা ছাত্রদল দপ্তর থেকে এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জের সাবেক এমপি জনাব আবুল হোসেন খান বলেন এ বিষয়ে তিনি জানতেন না,সাংবাদিক তাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রেরন করেছেন বিষয়টি তিনি দেখবেন।
ফরিদপুর ইউনিয়নের স্থানীয়রা নীরাপত্তাজনীত কারনে অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।
অন্য দিকে নলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের দখলদারীর সু স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির হাই কমান্ডের কঠোর নির্দেশনা থাকতে এই সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকা স্বত্তেও বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নটা থেকেই গেলো।