বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ মারুফ হোসাইন এর খুনিদের বিচার দাবি এবং বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ভাষানচর কদমতলী-তে নবনির্মিত শেখ হাসিনা সেতু-র নাম পরিবর্তন করে "শহীদ মারুফ সেতু" নামকরণের দাবিতে হাজারো জনতা মানববন্ধন করেছেন। ২৫ আগস্ট রবিবার বিকাল ৪ টায় উক্ত সেতুর উপরে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকায় গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টায় পুলিশের গুলিতে মারুফ হোসাইন নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাষানচর ইউনিয়ন। মারুফ হোসাইন কাজিরহাট একতা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কাজিরহাট থানার ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের হাজার হাজার জনতা দুপুর থেকেই হাজির হতে থাকে এবং বিকাল ৪ টার সময় সমগ্র সেতু পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
মানববন্ধনে শহীদ মারুফ হোসাইন এর পিতা বলেন আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে আমি আমি এখন আর ব্যথিত নই বরং গর্বিত একজন পিতা। আমার একটাই দাবি আমার ছেলে মারুফ ধরনের শোষণ, বৈষম্য, এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্ন নিয়ে শহীদ হয়েছে তার সে উদ্দ্যেশ্য নিয়ে শহীদ হয়েছে তার সেই স্বপ্ন যেন বাস্তবায়িত হয়। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
অন্যদিকে উপস্থিত হাজারো জনতা দাবি করেন যে উক্ত কদমতলী সেতুর নাম কোন ভাবেই শেখ হাসিনার নামে থাকতে পারে না। তারা সকলে এই সেতুর নাম "শহীদ মারুফ সেতু" হিসেবে নামকরণের দাবি করেন। উপস্থিত জনতা শেখ হাসিনার নামে সেতুর নামফলক ভেঙে ফেলে এবং "শহীদ মারুফ সেতু" নামে ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে দেয়। অতি দ্রুত "শহীদ মারুফ সেতু" নামকরণ বাস্তবায়নের জন্য জন্য মানববন্ধন থেকে সরকারের নিকট দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনে নিহত এবং আহত সকলের জন্য দোয়া করা হয়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ