চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির রোপা আমনসহ ফসলের মাঠ। এতে আনুমানিক সাড়ে ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার প্রাথমিক ভাবে সম্ভাবনা রয়েছে। ভারি বর্ষণ ও জোয়ারে বোয়ালখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১ হাজার হেক্টর জমির সদ্য রোপায়িত আমন ধান, ৪০ হেক্টর আউশধান ও ৪০ হেক্টর সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। বোয়ালখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মিলে চলতি মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর। ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। ভারি বর্ষণে উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত ও বীজ তলার চারা বানের পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার ৫নং সারোয়াতলি ইউনিয়নের ইমামুল্লার চর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আসিফ বলেন ,চার কানি জমিতে এবার আমন মৌসুমে ৪৯,৫১, ৯৭ ও লাল পাইজার জাতের ধান রোপণ করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৩ কানি জমি এখনো পানির নীচে ডুবে রয়েছে। আমন ধান রোপণের সময় এখন প্রায় শেষের দিকে। মৌসুমের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে পঁচে গেছে আমনের বীজতলা। এ মুহূর্তে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে বীজতলা তৈরি করাও সম্ভব নয়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখনও শত শত হেক্টর আমনের ক্ষেত প্রায় ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।শাকপুরা ইউনিয়নের আমতল এলাকার ইকবাল বলেন, ৬ কানি জমিতে আমন আবাদ করবেন তিনি।
বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো আতিক উল্লাহ।
তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্ত করা যাবে।
তবে এখন পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি এতে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।;তিন আরো বলেন, অপ্রত্যাশিত এই বন্যা মোকাবেলায় আমাদের মাঠ পর্যায়ের সব কৃষি কর্মকর্তা এই মুহূর্তে কৃষকদের সঙ্গে রয়েছেন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিকল্প সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।