কোটা আন্দোলনের পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের সাথে সাথে কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের উপরে মর্মান্তিক হামলা করে বাসার তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয় ও বসতবাড়িতে হামলা লুটপাট ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এবং নিজস্ব ব্যবহৃত মাইক্রোতে গাড়িতে আগুন দিয়ে ব্যাপক হয় ক্ষতি করেন ।
কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মৃদুল আহম্মেদ সুমনের কাউখালীর নিজ বাসার কেচি গেট ভেঙ্গে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে।তার মা এবং স্ত্রী তার জীবন বাঁচাবার জন্য প্রাণ বিখ্যা চেয়ে আহাজারি করে হামলাকারিরা তাদের অনুরোধ না শুনে প্রথমে একটা রুমের মধ্যে তাদের আটকে রাখে পরে বাসা থেকে ২২ মাসের মাসুম বাচ্চা সহ বের করে দেন। তিনি জীনব বাচাতে বাসার ছাদে পানির ট্যাংকি পাশে আশ্রয় নিলে সেখানে হামলাকারীরা ছাদের দরজা ভাংতে না পেরে ওয়াল সাফল দিয়ে ভেঙে তাকে হামলা করে মাথায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাসার তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
তারপর থেকে রাত ১২ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। সব জায়গায় ও সোসাল মিডিয়ায় ছরিয়ে পরে ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে পাওয়া যাচ্ছে না সে নিহত। পরে কাউখালী মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স এর কাছে স্হানীয়রা তাকে পেয়ে উদ্ধার করে পরে তাকে স্হানীয়রা প্রথমিক ভাবে মাথায় ও পায়ে সেলাই ব্যান্ডিস করে।এর পরে দুরে গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহন করতে যান তখন চিকিৎসকরা পরিক্ষা করে জানান তার পায়ের গোরালী ভেংগে গেছে এবং মাথায় গুরুতর জখম সহ মাঝা ও শরীরের বিভিন্ন স্হানে আঘাত ধরা পরে এখনও সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খোজ নিয়ে যানাযায় তার কাউখালী উপজেলা সদরের সহ গ্রামের বাড়ি জয়কুলের বাড়ি এবং তার আপন চাচার বাড়ি সহ হামলা ও ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে ও তার গ্রামের বাড়ির কেয়ারটেকার কে মারদর করে হুমকি দিয়ে আসে।
তার নিজস্ব ব্যবহৃত গাড়ি ঢাকা মেট্র -চ-৫৩০৩১২ উপজেলার নিজতলায় ইওনোর গাড়ির পাশে রাখা অবস্থায় সেখানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং তার ব্যাক্তিগত অফিস (কৃষি ব্যাংকের নিচতলা) সব মালামাল লুটকরে এবং আসবাব পত্র বের করে মেইন রোডে বসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।
এবং তার অগ্রনী ব্যাংকের একটি পুরোনো চেকে সই করা পেয়ে সেই চেকে টাকা বসিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে চাইলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান তার একাউন্ট কোন টাকা নেই পরে স্হানীয় এক বিএনপির নেতার নাম বলে ব্যাংকের ম্যানেজার কে চাপ দিয়ে চেকটি ডিজঅনার করে নেন।
স্থায়ী ও তথ্যসূচি জানা যায় কাউখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুমন একজন জনপ্রিয় লোক তিনি দুইবার সাধারণ মানুষের ভোটে বিজয়ী হন। তার উপর এমন হামলা হলো কেন জানতে চাইলে স্থানীয় জানান কেন হইছে কি জন্য হইছে আম্মা বলতে পারবো না তবে তিনি ক্ষমতা থাকাকালী কারো কোন ক্ষতি করেননি তিনি সবসময় জনগণের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার উপর এমন হামলার জন্য আমরা দুঃখিত।
আহত সুমনের কাছে তার ক্ষয়ক্ষতি ও হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান আমাকে তারা মেরে ফেলার জন্য হামলা করে একটি স্থানে ফেলে দেয় এবং আমার নিজের বসতঘর আমার গ্রামের বাড়ি ও আমার ব্যক্তিগত অফিস আমার ব্যক্তিগত একটি গাড়ি তারা পুড়িয়ে দেয় এতে তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বর্তমানে তিনি অনেক অসুস্থ এখন একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে তিনি দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।