রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পাকুড়িয়া শরীফ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগসাজশে অনিয়ম করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ এবং অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষক ও লাইব্ররিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে বিদ্যালয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,পাকুড়িয়া শরীফ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের ভুয়া ভাউচার দিয়ে সরকারী কোষাগার থেকে ৬৫,০০০/- (পঁয়ষট্টি হাজার)টাকা,প্রনোদনার ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা খাত অনুযায়ী কোন কাজ না করা,২০২১ইং সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা বোর্ড থেকে ফরম পূরণের টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা ফেরত দেননা, ২০২২ইং সালের প্রশংসাপত্র শিক্ষার্থীদের ফ্রি দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে প্রায় ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা উত্তোলন করেন, পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগে প্রায় ৩৫,০০,০০০/- (পঁয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়াও ২০২২ সালে এসএসসি ফরম পূরণের প্রায় ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকার হিসাব নাই। কম্পিউটার শিক্ষকসহ বেশ কিছু শিক্ষকের জাল সনদে বহাল তবিয়তে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন।এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, আমি কিছু জানিনা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস আর ফারুক বলেন,এ বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক এর সার্টিফিকেট এর সমস্যা আছে ।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না কে অবগত করেছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে , তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর সঃ মঃ আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা বোর্ড থেকে ফরম পূরণের টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে টাকা ফেরত না দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উল্লেখ্য,সহকারী শিক্ষক ( কম্পিউটার শিক্ষা) মোস্তাফিজার রহমান, সহকারী শিক্ষক ( সমাজ ও কর্ম ) মোসলেম উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ( ইংরেজি) লায়লা বেগম , সহকারী শিক্ষক বোরহান উদ্দিন ,লাইব্রেরিয়ান আব্দুল মতিনের জাল সনদে চাকরি এবং অবৈধ ভাবে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।